স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কি?

Graduation and Post Graduation: স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কি সে সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গা তে চলে এসেছেন। কারন, আজকের আলোচনাতে আমি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কি তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। 

সহজ কথায় বলতে গেলে, যখন কোনো একজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করার পর ডিগ্রি বা তার সমমান এর যেকোন একটিতে ৩ বছর বা ৪ বছর মেয়াদী কোনো শিক্ষা অর্জন করে তখন তাকে বলা হয়, স্নাতক।

কিন্তু যখন একজন শিক্ষার্থী ৩/৪ বছর মেয়াদী স্নাতক শিক্ষা অর্জন করার পর পুনরায় আবার ২ বছর বা ১ বছর মেয়াদী কোর্স করবে, তখন তাকে বলা হবে স্নাতকোত্তর। 

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর

স্নাতক কাকে বলে?

What is a graduate: স্নাতক শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো, জ্ঞানের জলের মধ্যে আবগাহন করা কিংবা জ্ঞানের জলে স্নান করা। কিন্তুু স্নাতক কি, যখন আপনি শিক্ষার দিক থেকে এর উত্তর জানবেন তখন আপনি ভিন্ন অর্থ খুজে পাবেন। 

সাধারনত, এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যখন একজন শিক্ষার্থী ৩ বছর মেয়াদী কিংবা ৪ বছর মেয়াদী কোনো কোর্স করবে তখন সেই শিক্ষার যোগ্যতা কে বলা হবে, ব্যাচেলর ডিগ্রি। যদিওবা এই শিক্ষার যোগ্যতা কে বাংলায় স্নাতক বলা হয় কিন্তু ইংরেজি তে এই শিক্ষাগত যোগ্যতা কে বলা হয়, Bachelor’s Degree. 

আবার আপনি যদি আমাদের দেশের শিক্ষার দিক থেকে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, অধিংকাংশ সময় আমাদের দেশে এই শিক্ষাগত যোগ্যতা কে বলা হয়, অনার্স ডিগ্রী। আর এই ধরনের স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করার জন্য একজন শিক্ষার্থী কে ৩/৪ বছর মেয়াদী কোর্স কমপ্লিট করতে হয়। 

স্নাতকোত্তর কাকে বলে?

What is a master’s degree: সহজ কথায় বলতে গেলে, মাষ্টার্স ডিগ্রি কে বলা হয়, স্নাতকোত্তর। কারণ, যখন কোনো একজন শিক্ষার্থী স্নাতক সমমান ডিগ্রি অর্জন করার পরবর্তী সময়ে আরো ০১ বছর কিংবা ০২ বছর মেয়াদী কোর্স করবে। তখন উক্ত শিক্ষার্থী এই কোর্স সম্পন্ন করার পর যে শিক্ষাগত সনদ অর্জন করবে তাকে বলা হবে, স্নাতকোত্তর।

দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতক বলতে কি বোঝায়?

স্নাতক কি ও স্নাতকোত্তর কি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি আপনাকে আরো একটি অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেই বিষয়টি হলো, দ্বিতীয় শ্রেণীল স্নাতক বলতে কি বোঝায়। 

তো যখন কোন একজন শিক্ষার্থী ৪ বছর মেয়াদী কিংবা ৩ বছর মেয়াদী স্নাতক এর কোর্সে পড়াশোনা করবে। তখন সেই শিক্ষার্থীর স্নাতক শেষ করার পরও অনার্স এর সার্টিফিকেট না পেয়ে উক্ত শিক্ষার্থী কে ডিগ্রী পাস এর সনদ প্রদান করা হয়। তখন সেই ডিগ্রী পাসের সনদ কে বলা হয়, দ্বিতীয় শ্রেনীর স্নাতক

স্নাতক মানে কি পাস?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা স্নাতক কি সে সম্পর্কে জানতে পারলাম। কিন্তুু আপনি কি জানেন, স্নাতক মানে কি পাস?

– হুমম, অনেক সময় আমাদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তো যখন আপনি আপনার এইচএসসি পরীক্ষার পর উচ্চ শিক্ষা জন্য ৩ বছর মেয়াদী কিংবা ৪ বছর মেয়াদী কোন শিক্ষাক্রম এর কোর্স সম্পূর্ণ করবেন। তখন আপনার এই যোগ্যতা কে স্নাতক পাস ধরা হবে।

অর্থ্যাৎ, আমরা ইংরেজি তে যাকে ব্যাচেলর্স ডিগ্রী বলি বাংলাতে সেই যোগ্যতা কে বলা হয়, স্নাতক। আশা করি, স্নাতক মানে কি পাস, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।

ডিগ্রী আর স্নাতক কি এক বিষয় নাকি ভিন্ন?

আপনি যখন অনার্স বা ডিগ্রীতে পড়াশোনা করবেন তখন আপনার মনেও একটা সময় এই প্রশ্নটি জেগে থাকবে। সেটি হলো, ডিগ্রী আর স্নাতক কি এক নাকি ভিন্ন। আর এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো, না।

এই দুটি কখনই এক বিষয় নয় কারণ আমরা বেশ ভালো করেই জানি যে, একজন শিক্ষার্থী যখন ডিগ্রী তে পড়াশোনা করবে। তখন তাকে মোট ৩ বছর মেয়াদী কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তুু যখন কোন একজন শিক্ষার্থী অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করবে তখন সেই শিক্ষার্থী কে মোট ৪ বছর মেয়াদী কোর্স সম্পুর্ণ করতে হবে।

ছাড়াও ডিগ্রীতে অধ্যায়ন করার সময় একজন শিক্ষার্থী কে আলাদা ভাবে অনেক বিষয়ে স্বল্প আকারে পড়াশোনা করতে হয়। তবে অনার্স এর দিক থেকে ভিন্নতা লক্ষ্য করতে পারবেন। কারণ, অনার্স এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে বিষদভাবে পড়াশোনা করানো হয়।

ডিগ্রী পাস করে কি বিসিএস দেওয়া যায়?

আপনারা যারা ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত আছেন তাদের ডিগ্রী এর জন্য মোট ৩ বছরের কোর্স করানো হয়ে থাকে। কিন্তুু যখন আপনি আপনার ডিগ্রী এর কোর্স শেষ করবেন তখন আপনি সেই শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষা তে অংশগ্রহন করতে পারবেন না। 

কিন্তুু আপনি যদি একান্ত ভাবে বিসিএস পরীক্ষাতে অংশগ্রহন করতে চান। তাহলে আপনাকে ডিগ্রী কোর্স শেষ করার পরে পুনরায় ২ বছর মেয়াদী মাস্টার্স কোর্স কমপ্লিট করে নিতে হবে। আর যখন আপনি ডিগ্রী শেষ করার পর আবার মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করবেন। তারপরে আপনি সরাসরি বিসিএস পরীক্ষাতে অংশষগ্রহন করতে পারবেন।

অনার্স শেষ করতে কত বছর লাগে?

আমরা সকলেই জানি যে, অনার্স এর মধ্যে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আর যখন আপনি অনার্স করবেন তখন আপনাকে মোট ৪ বছর এর কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে। আর যদি আপনি অনার্স এর চার বছর এর কোর্স করেন তাহলে আপনাকে মাস্টার্স করার জন্য মাত্র ১ বছর এর দরকার হবে। 

কিন্তুু আপনি যদি ডিগ্রী নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে কিন্তুু আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে। আর এই ডিগ্রী কোর্স সম্পূর্ন করতে আপনার মোট ৩ বছর এর প্রয়োজন হবে। তবে আপনি যখন ডিগ্রী শেষ করার পর মাস্টার্স করবেন তখন আপনার মোট ২ বছর এর প্রয়োজন হবে মাস্টার্স শেষ করার জন্য।

ডিপ্লোমা কি স্নাতক হিসেবে ধরা হয়?

তো আমরা যারা ডিপ্লোমা নিয়ে পড়াশোনা করি তাদের মনে বারবার এই প্রশ্নটি ঘুরপাক খায়। সেটি হলো, ডিপ্লোম কি স্নাতক হিসেবে ধরা হয় কিনা। তো তাদের উদ্দেশ্য বলবো যে, আপনি যখন সফলভাবে ডিপ্লোমা শেষ করতে পারবেন। তখন আপনার সেই শিক্ষাগত যোগ্যতা কে ডিগ্রীর সমমান হিসেবে ধরা হবে। 

কিন্তু এখানে আরে একটি সমস্যা আছে সেটি হলো, আপনি যখন ডিপ্লোমা শেষ করার পর ভার্সিটি তে ভর্তি হতে যাবেন। তখন কিন্তুু আপনার ডিপ্লোমা পাস এর সার্টিফিকেট কে এইচএসসি পাস হিসেবে ধরা হবে। কিন্তুু এটা শুধুমাত্র তখনি এইচএসসি পাসের সমমান হিসেবে ধরা হবে যখন আপনি ভার্সিটি তে ভর্তি হতে যাবেন। অন্যথায়, আপনার ডিপ্লোমা পাসের সার্টিফিকেট কে ডিগ্রীর সমমান হিসেবে ধরা হবে।

আমাদের শেষকথা

বিভিন্ন সময় আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কাকে বলে? আর যাদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন জাগে, তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। এবং আমার দীর্ঘ বিশ্বাস আছে যে, আজকের আলোচনা থেকে স্নাতক কি ও স্নাতকোত্তর কি তা আপনি পরিস্কার ভাবে ‍বুঝতে পেরেছেন। 

আর আপনি যদি শিক্ষা বিষয়ক অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিয়মতি আমাদের ওয়েবসাইট এর মধ্যে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন