সাংবিধানিক আইন কাকে বলে?
What is constitutional law: সহজ কথায় সরকার সম্পর্কিত বিশেষ ধরনের আইন কে বলা হয়, সাংবিধানিক আইন। আর এই সাংবিধানিক আইন কোন নির্দিষ্ট একটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ের দিকে লক্ষ্যে রাখে।
যেমন, কোন একটি রাষ্ট্রের প্রকৃতি, সরকারের ধরন, উক্ত রাষ্ট্রের মধ্যে যাবতীয় কার্যাবলী, সরকার কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রধান বিভাগ। ইত্যাদির যাবতীয় ক্ষমতার মান বন্টন সহ রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকদের সম্পর্ক বজায় রাখার কাজ করে।
সাংবিধানিক আইন কি?
সাংবিধানিক আইন অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোন একটি দেশের যে সরকার রয়েছে। সেই সরকার এর প্রধান প্রধান বিভাগ গুলো তে ক্ষমতার মানবন্টন কে বলা হয়, সাংবিধানিক আইন। আর ১৯৭১ সালে যখন আমাদের বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল।
তারপরে বাংলাদেশ নামক এই ছোট্ট রাষ্ট্র কে পরিচালনা করার জন্য। পরের বছরে এই সাংবিধানিক আইনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে এই সাংবিধানিক আইনের কার্যকর হয়েছিল।
সংবিধানিক আইন এর মধ্যে কি কি আছে ?
দেখুন, সাংবিধানিক আইন কাকে বলে সেটা জানার পাশাপাশি। আপনাকে এই সাংবিধানিক আইন এর মধ্যে কি কি আছে তা জেনে নিতে হবে। কারণ সাংবিধানিক আইন এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর সেই বৈশিষ্ট্য গুলো হলঃ
- বাংলাদেশ এর সাংবিধানিক আইনে মোট অনুচ্ছেদ এর সংখ্যা ১৫৩ টি।
- এছাড়াও ১১ টি প্রধান ভাগে বিন্যস্ত চার (০৪) টি তফসিল আছে।
মূলত আমাদের বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র কে পরিচালনা করার জন্য, যে সাংবিধানিক আইন রয়েছে। সেই সাংবিধানিক আইনের অনুচ্ছেদ সংখ্যা হলো, ১৫৩ টি। আর এই অনুচ্ছেদ গুলো তে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা আছে। যেমনঃ
- সাংবিধানিক আইন এর প্রথম অংশেই আমাদের বাংলাদেশ কে স্বাধীন সার্বভৌম একক প্রজাতন্ত্র দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
- এছাড়াও সাংবিধানিক আইন এর মধ্যে থাকা সাত (০৭) নম্বর অনুচ্ছেদ এর মধ্যে। বাংলাদেশ সংবিধান কে সর্বোচ্চ আইন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
- এ গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ সাংবিধানিক আইন এর দ্বিতীয় অংশে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য। সকল মূলনীতি গুলো উল্লেখ করা আছে।
- এছাড়াও উক্ত সাংবিধানিক আইন এর মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং আর্থ সামাজিক উদ্দেশ্য গুলোর নীতি নির্ধারণ করা আছে।
- বাংলাদেশ সাংবিধানিক আইন এর তৃতীয় অংশে, সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সমূহ উল্লেখ করা আছে।
তো এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশ সাংবিধানিক আইন এর মধ্যে আরো অনেক কিছু উল্লেখ করা আছে। যদি আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এখানে ক্লিক করুন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন কি?
আমাদের দেশের সাংবিধানিক নাম হল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। আর এই দেশের সর্বোচ্চ আইন হলো, সংবিধান। এই সংবিধান হলো. এক ধরনের বিশেষ লিখিত দলিল। যেখানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র কে পরিচালনা করার সকল নিয়ম-নীতি উল্লেখ করা আছে।
আর বাংলাদেশ সংবিধান এর কার্যকর করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে। এর পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশ সংবিধান এর লিখিত দলিল গুলো ইংরেজি এবং বাংলা এই দুইটি ভাষা তে অন্তর্ভুক্ত আছে।
Q: বাংলাদেশের সংবিধান কত পৃষ্ঠার?
A: আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, বাংলাদেশ সংবিধান কত পৃষ্ঠার। তো শুনে রাখুন, বাংলাদেশ সংবিধান হল ১০৯ পৃষ্ঠার। আর আমাদের বাংলাদেশ সংবিধান এর যে লিখিত দলিল আছে। সেই দলিল গুলো তে শুধুমাত্র মাঝখানে লেখা রয়েছে এবং লেখার চারপাশে নকশা করা আছে।
Q: রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল এর নাম কি?
A: সংবিধান হলো, কোন একটি রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার জন্য মৌলিক দলিল।
Q:কেন সংবিধান সংশোধন করা হয়?
A: একটি দেশ বা রাষ্ট্র যখন সংবিধান তৈরি করে। তার পরবর্তী সময়ে সেই সংবিধান সংশোধন করার দরকার হয়। এর কারণ হলো, ভবিষ্যৎ এর কথা আমরা কেউ বলতে পারিনা। তাই বর্তমান সময় কে কাজে লাগিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে সংবিধান তৈরি করা হলেও। ভবিষ্যতে যখন অবস্থার পরিবর্তন হয়, তখন এই সংবিধান কে সংশোধন করার দরকার পড়ে।
সংবিধানিক আইন নিয়ে আমাদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে। সাংবিধানিক আইন কাকে বলে সে সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। তো আপনি যদি এ ধরনের অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।