ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম কি?
যখন আমাদের পৃথিবীতে ভূমিকম্প সংঘঠিত হয়। তখন আমরা পত্রিকার পাতায় কিংবা নিউজ এর মধ্যে সেই ভূমিকম্পের মাত্রা জানতে পারি। আর সেই সময় আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে, কিভাবে ভূমিকম্প হওয়ার পরে সেই ভূ কম্পন কে পরিমাপ করা যায়।
আর আপনার মনেও যদি এই প্রশ্নটি জেগে থাকে। তাহলে শুনুন, কোনো স্থানে ভূ কম্পন হওয়ার পর তা একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে মাপা হয়। আর সেই ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম হলো, রিখটার স্কেল। তবে এই ভূ কম্পন পরিমাপ করার জন্য কোনো ধরনের গানিতিক সূত্রের প্রয়োগ হয়না।
ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম কি?
সহজ কথায় বলতে গেলে ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম হলো, রিখটার স্কেল। কারণ, এই ধরনের ভূ কম্পন পরিমাপ করার জন্য কোনো প্রকারের গানিতিক সূত্রের প্রয়োগ করা হয়না। বরং রিখটার স্কেল দিয়ে খুব সহজেই যে কোনো স্থানের ভূমিকম্পের পরিমাপ করা সম্ভব। আর উক্ত কাজটি করার জন্য আরো একটি যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেই যন্ত্রের নাম হলো, সিসমোগ্রাফ।
আরো পড়ুনঃ হার্প টেকনোলজি কি? | হার্প টেকনোলজি দিয়ে কি কি করা যায়?
রিখটার স্কেল বলতে কি বোঝো?
তো আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম, ভূমিকম্প পরিমাপ এর যন্ত্রের নাম হলো রিখটার স্কেল। কিন্তুু এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, এই রিখটার স্কেল বলতে কি বোঝো। তাহলে কি আপনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?
এক কথায় বলতে গেলে, রিখটার স্কেল হলো এমন এক ধরনের পরিমাপক। যার সাহায্য নির্দিষ্ট একটি স্থানে সংঘঠিত হওয়া ভূমিকম্পের পরিমান কে সংখ্যায় প্রকাশ করা যায়।
এছাড়াও আমাদের আরো একটি বিষয় জানতে হবে। সেটি হলো, রিখটার স্কেল হলো এমন এক ধরনের পরিমাপ করার পদ্ধতি। যার সাহায্য একবারে নিখুঁত ভাবে ভূমিকম্প কে পরিমাপ করা যায়। তাই অনেক আগে থেকে এখন পর্যন্ত, ভূকম্পন পরিমাপের জন্য এই যন্ত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে।
কত মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকবে পদ্মা সেতু?
যেহুতু আজকে আমরা ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা করছি। সেহুতু এবার আমি আপনাকে একটি মজার তথ্য জানিয়ে দিবো। সেটি হলো, পদ্মা সেতু আমাদের দেশের বৃহত্তম একটি সেতু। যে সেতুটি ৩২ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছে।
আর এতো বেশি টাকা ব্যয় করে উক্ত সেতুটি কি পরিমান ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে তা কি আপনি জানেন?
দেখুন, যেহুতু এই সেতুটি বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে নির্মাণ করা হয়েছে। সেহুতু এই সেতুটি অনেক বড় মাপের ভূমিকম্পের মোকাবিলা করতে পারবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। কেননা, এই সেতুটির প্রায় ৯ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প সহ্য করার মতো ক্ষমতা আছে। যা সত্যি অবাক করে দেওয়ার মতো।
ভূমিকম্পের কারণ গুলো কি কি?
যখন কোনো স্থানে ভূমিকম্প হয়, তখন সেই স্থানের মাটিতে বড় কিংবা স্বল্প পরিমানে ভূ কম্পন অনুভুত হয়। কিন্তুু আপনি কি জানেন, কেন এই ভূমিকম্প হয়? যদি আপনি না জেনে থাকেন, তাহলে শুনুন,,,, এমন অনেক কারণ আছে যেগুলোর জন্য ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। যেমন,
- যখন ভূ পৃষ্ঠের মধ্যে হঠাৎ করে কোনো ধরনের পরিবর্তন হয়। তখন এই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।
- তবে এই ভূমিকম্প হওয়ার আরো একটি অন্যতম কারণ হলো, আগ্নেয়গিরী। যার ফলে অনেক বেশি পরিমানে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- এবং ভূমিকম্প সৃষ্টি হওয়ার আরো একটি কারণ হলো, শিলাচ্যুতি। যার ফলেও এই ধরনের ভূমিকম্প এর সৃষ্টি হয়ে থাকে।
মূলত ভূ বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্প হওয়ার যে কারন গুলো খুজে পেয়েছে। সেই তিনটি কারণ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং বর্তমান সময়ে আমরা যে ভূমিকম্প গুলো দেখতে পাই। সেগুলো মূলত এই কারণ গুলোর জন্যই সংঘঠিত হয়ে থাকে।
ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র নিয়ে আমাদের শেষকথা
আমাদের এই পৃথিবীতে অন্যান্য সব দুর্যোগের মধ্যে ভূমিকম্প হলো অন্যতম। আর সে কারণে আজকে আমি আপনাকে ভূমিকম্প হওয়ার কারণ ও ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রের নাম টি জানিয়ে দিয়েছি। তবে আপনি যদি এই ভূমিকম্প সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটি জানিয়ে দিবেনে।
আর এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।