নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩

New Voter ID Card Rules 2023: আপনি কি ২০২৩ সালে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান? তাহলে ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপএ বা ডকুমেন্টস গুলো নিজের কাছে রাখবেন। যেমন, জন্ম সনদ, পিতা মাতার এনআইডি, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার ফটোকপি ইত্যাদি। এরপর সেই ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে আপনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান। এবং সেখানে গিয়ে আপনি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার আবেদন করুন। তাহলে আপনি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন।

 

কিভাবে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করবেন?

আমাদের বাংলাদেশ এর ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া তিন (৩) বছর পর পর শুরু হয়। আর যখন এই সময় আসে, তখন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস এর কর্মরত কর্মচারীরা। সবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহন এর কাজ করে। তো আপনি যদি এখনও ভোটার নিবন্ধন না করেন। তাহলে আপনি এভাবে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে কোনো কারনে যদি আপনি ভোটার নিবন্ধন থেকে বাদ পড়ে যান। তাহলেও চিন্তা করার দরকার নেই। কারন, বর্তমানে আপনি চাইলে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর মনে রাখবেন, যখন আপনার বয়স ১৮ বছর পূর্ন হবে। তখন আপনি নিজ দায়িত্বে ভোটার তালিকায় আপনার নাম যুক্ত করবেন।

আর যাদের বয়স এখনও ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তারাও ভোটার হতে পারবে। কিন্তু ১৮ বছর না হওয়ার কারনে, তাদের নাম গুলো ভোটার তালিকার মধ্যে যুক্ত করা হবেনা। আর আপনি উপরের এই পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

নতুন ভোটার হতে গেলে কি কি প্রয়োজন হয়?

যখন আপনার একটি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পএ থাকবে। তখন আপনি বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রমান হিসেবে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। আর সে কারনে আপনার নতুন ভোটার নিবন্ধন করার সময় বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর সে গুলো হলো,

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ এর ফটোকপি দরকার হবে।
  2. রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার সনদ এর ফটোকপি।
  3. আপনার নিজের এলাকার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যায়ন পএ দিতে হবে।
  4. এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদ এর ফটোকপি দিতে হবে।
  5. আপনার পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পএ এর ফটোকপি।

তো নতুন ভোটার হতে গেলে কি কি লাগে। সে গুলোর তালিকা উপরে দেয়া হলো। আপনি যখন নতুন ভোটার তালিকায় নাম লেখাবেন। তখন অবশ্যই এই ডকুমেন্টস গুলো আপনার সাথে রাখবেন।

 

কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার আবেদন করবো?

যদি কোনো কারনে ভোটার তালিকা করার সময় আপনার নাম বাদ পড়ে যায়। তাহলে আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইনে নতুন ভোটার আবেদন করতে পারবেন। আর সেজন্য আপনাকে Bangladesh NID Application এর মধ্যে যেতে হবে। 

তারপর এখানে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দেয়ার পরে। অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিবেন। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড কিভাবে করবো?

 

নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩

দেখুন, আপনি যদি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। আর প্রতি ৩ বছর পর পর নভেম্বর থেকে শুরু করে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে কর্মরত কর্মচারীরা আপনার এলাকতে গিয়ে ভোটার নাম গ্রহন শুরু করবে। আপনি তাদের কাছে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন।

অথাবা যদি কোনো কারনে আপনি এই পদ্ধতিতে ভোটার হতে না পারেন। তাহলে আপনি অনলাইন থেকেও নতুন ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন করতে পারবেন।

 

কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড পাবো?

যখন আপনি নতুন ভোটার তালিকায় নাম লেখাবেন। তার পরে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ছবি তুলতে হবে। আর যখন আপনার ছবি তোলার কাজ শেষ হবে। তখন আপনার জাতীয় পরিচয় পএ এর জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তুু আপনার হাতে এই স্মার্ট কার্ড কবে আসবে। সেটা আপনাকে মোবাইলে মেসেজ অথবা কল করে জানিয়ে দেয়া হবে।

 

নতুন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে কিছুকথা

তো যে সকল মানুষ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম গুলো জানতে চেয়েছিলেন। আশা করি, তারা আজকের আলোচনা থেকে সেই নিয়ম গুলো জানতে পেরেছেন। আর আপনি যদি আরো কোনো ভোটার তথ্য জানতে চান। তাহলে সেটি নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে Learning Boss এর সাথে থাকার জন্য। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন