আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

How to start amazon affiliate marketing: বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো, এফিলিয়েট মার্কেটিং। আর বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পেরেছে। সে কারনে আমরা অনেকেই এখন ঝুঁকে পড়ছি, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য। 

কিন্তুু যখন আপনি নতুন মানুষ হিসেবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। তখন সবার প্রথমে আপনার মনে যে প্রশ্নটি জাগবে। সেটি হলো, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো। আর আপনার আসলে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা উচিত। এবং কিভাবে কাজ করলে আপনি আমাজন এফিলিয়েট করে সফলতা পাবেন। আজকের আলোচনায় এই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলবো।

 

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

যখন আপনি কোনো অনলাইন প্রতিষ্ঠান এর প্রোডাক্ট সেল করবেন। তখন উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের প্রডাক্ট সেল করার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন প্রদান করবে। আর এই পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

আর যখন আপনি বিভিন্ন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ফলো করে আমাজন এর প্রোডাক্ট সেল করে দিবেন। এবং আমাজন থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন। তখন তাকে বলা হবে, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৩

 

কিভাবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন?

সহজ কথায় বলতে গেলে,আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এরপর সেই ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। তারপর আমাজন প্রোডাক্ট এর লিংক উক্ত আর্টিকেল গুলো তে যুক্ত করে দিন। তাহলে আপনি আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। 

কিন্তুু এই বিষয়টি কে যতোটা সহজ ভাবে বলা হলো। আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিন্তুু মোটেও এতটা সহজ বিষয় নয়। কারন, আমরা সবাই জানি টাকা ইনকাম করার কোনো পথ সহজ নয়।

সে জন্য আপনি যখন আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন। তখন আপনাকে নিচে উল্লেখিত স্টেপ গুলো ফলো করে কাজ করতে হবে। যেমন,

  • নিশ বাছাই করুনঃ দেখুন, আমাজন এফিলিয়েট করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে সঠিক প্রোডাক্ট নিশ বাছাই করতে হবে। এবং আপনাকে এমন সব আমাজন প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে হবে। যে প্রোডাক্ট গুলো মানুষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
  • ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ যদিওবা বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরন করে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। তবে আমি সর্বদা ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সাজেস্ট করবো। আর সেজন্য আপনি অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।
  • কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্টঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করার অন্যতম হাতিয়ার হলো, কন্টেন্ট। যদি আপনি আপনার কন্টেন্ট এর মাধ্যমে কাস্টমারদের প্রোডাক্ট কেনার আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেন। তাহলে আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে সেল করার পরিমান বৃদ্ধি পাবে। আর আপনি যতো প্রডাক্ট সেল করবেন। আপনার এফিলিয়েট কমিশন থেকে আয় বৃদ্ধি পাবে।
  • সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসুনঃ যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে মানসম্মত কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। তারপর আপনার প্রধান টার্গেট হবে আপনার সাইট এর মধ্যে ভিজিটর নিয়ে আসা। কারন, আপনি যতো বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আসবেন। আপনার এফিলিয়েট লিংক এর মধ্যে ততো বেশি ক্লিক পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তো যারা নতুন ব্যক্তি হিসেবে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চাচ্ছেন। তারা উপরের দেখানো নিয়ম গুলো ফলো করে, এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে?

 

FAQ – Amazon Affiliate Marketing

Q: এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?

A: সময় এর সাথে সাথে যদি নিজেকে আপডেট রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত। কারন, মানুষ এখন অনলাইনে প্রোডাক্ট কেনাকাটা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। আর এফিলিয়েট মার্কেটিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।

Q: এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

A: আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়। তো তাদের উদ্দেশ্য বলছি, আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি ১ থেকে ২ লক্ষ বা তারও বেশি পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন।

 

আমাজন এফিলিয়েট নিয়ে আমাদের শেষকথা

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো সে বিষয়টি নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তো আপনি যদি অনলাইন ইনকাম রিলেটেড আরো কোনো তথ্য জানতে চান। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর ধন্যবাদ, আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন