জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ কবে হবে?

When will the national election 2024?: আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ কবে হবে। তো আমাদের বাংলাদেশ এর সংবিধান হিসেবে জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ (০৫) বছর। আর এই সময় শেষ হওয়ার পর পুনরায় জাতীয় নির্বাচন শুরু হয়।

আর আমরা সবাই জানি যে, বাংলাদেশে ১১ তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। তো সেই সময় হিসেব করে ১২ তম জাতীয় নির্বাচন কবে হবে। সেই দিন তারিখ নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ কবে হবে?

আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৫ বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এখন পর্যন্ত জাতীয় জাতীয় নির্বাচন এর সর্বশেষ আয়োজন হলো ১১ তম। যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

আর জাতীয় নির্বাচন এর নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করতে হয়।

অর্থাৎ, বর্তমান সংসদের (১১ তম) মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর মাসে। তাই ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বরের আগের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন এর আয়োজন করতে হবে।

এখন যদি আমরা সেই সময় হিসেব করি। তাহলে হিসেব অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর। তাই ধারনা করা যায়, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ আপডেট তথ্য

২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এখনো ভোট গ্রহণের কোনো তারিখ ঠিক করা হয়নি। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তাই ধারনা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, জাতীয় বির্বাচন এর চূড়ান্ত তারিখ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।

নির্বাচন বলতে কি বোঝায়?

আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, নির্বাচন বলতে কি বোঝায়। তো সহজ কথায় বলতে গেলে নির্বাচন হলো একটি ণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো একটি দেশের জনগণ ভোট প্রদান করে একজন সরকার নির্বাচন করতে পারে। আর তারা তাদের নির্বাচিত সরকারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।

তবে নির্বাচন কি এই বিষয়টিকে আরো একটু ভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা যাবে। যেমন, নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধি কে বেছে নিতে পারে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নাম কি?

এই বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের সবার সঠিক তথ্য জানা দরকার। কেননা, সময়ের সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনার এর পরিবর্তন হয়। তবে বর্তমান সময়ে (২০২৪) নির্বাচন কমিশনারের নাম হলো, কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তবে এর আগের সময় গুলোতে আরো অনেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর এবার আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান করবো। যে তালিকায় আপনি সেই সকল নির্বাচন কমিশনারের নাম দেখতে পারবেন।

সিরিয়াল

কমিশনের নাম

গঠন এর সময়কাল

প্রধান নির্বাচন কমিশনার

০১

হাবিবুল আউয়াল কমিশন

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কাজী হাবিবুল আউয়াল

০২

নুরুল হুদা কমিশন

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কে এম নুরুল হুদা

০৩

রকিবুদ্দিন কমিশন

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২

কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ

০৪

শামসুল হুদা কমিশন

৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭

এটিএম শামসুল হুদা

০৫

আজিজ কমিশন

২২ মে ২০০৫

এমএ আজিজ

০৬

সায়ীদ কমিশন

২৩ মে ২০০০

এমএ সায়ীদ

০৭

হেনা কমিশন

৯ এপ্রিল ১৯৯৬

মোহাম্মদ আবু হেনা

০৮

সাদেক কমিশন

২৭ এপ্রিল ১৯৯৫

একেএম সাদেক

০৯

রউফ কমিশন

২৫ ডিসেম্বর ১৯৯০

মোহাম্মদ আবদুর রউফ

১০

সুলতান কমিশন

১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০

সুলতান হোসেন খান

১১

মাসুদ কমিশন

১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫

এটিএম মাসুদ

১২

নুরুল ইসলাম কমিশন

৮ জুলাই ১৯৭৭

একেএম নুরুল ইসলাম

১৩

ইদ্রিস কমিশন

৭ জুলাই ১৯৭২

এম ইদ্রিস

বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে জানুন

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের অবশ্যই বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা উচিত। আর সে কারণে এবার আমি আপনাকে খুব সহজ ভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে বলবো।

তো আমাদের বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি গুলো হলঃ 

  1. প্রত্যক্ষ
  2. সাধারণ
  3. সমান
  4. গোপন
  5. পর্যবেক্ষণযোগ্য

আর যদি এই নির্বাচন পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে বলবো যে, বাংলাদেশে নির্বাচন প্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

যার মূল অর্থ হল, যা প্রকৃত পক্ষে বৈধ ভোটার তারা সরাসরি তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন। কেননা, বাংলাদেশের নির্বাচনে সকল নাগরিকের সমান ভোটাধিকার থাকে। এছাড়াও সমান পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটের সমান মূল্যায়ন করা হয়।

শুধু তাই নয়, বরং আমাদের দেশের ভোটাররা তাদের ভোট গোপনে দেয়। আর বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আর আমরা তো সবাই জানি যে, বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য প্রতীক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। তাদের প্রত্যেক কে একটি নির্দিষ্ট প্রতীক দেওয়া হয়। আর যারা ভোটার আছেন, তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে ভোট দিতে পারে।

বিশেষ তথ্যঃ বাংলাদশের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী সকল নাগরিকদের ভোট দেওয়ার যোগ্যতা আছে। তবে, কারাগারে থাকা ব্যক্তি, বিদেশি নাগরিক আর  নির্দিষ্ট কিছু অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরা ভোট দিতে পারবে না।

নির্বাচন কমিশনের কাজ কি?

যেহুতু আমরা নির্বাচন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানলাম। সেহুতু এবার আমাদের আরো একটি বিষয় জানতে হবে। সেটি হলো, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কাজ কি। তো এবার আমি আপনাকে নির্বাচন কমিশনের কাজ গুলো সম্পর্কে বলবো।

সত্যি বলতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করাই হলো নির্বাচন কমিশনের মূল কাজ। আর সেই নির্বাচন কমিশনের কাজ গুলো নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন,

  1. ভোটগ্রহণ পরিচালনা করা।
  2. ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা।
  3. নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তি করা।
  4. নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা।
  5. ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা।
  6. প্রার্থীদের মনোনয়ন গ্রহণ করা।

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে নির্বাচন কমিশন এর যেসব কাজ রয়েছে। সেই কাজ গুলো উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে। তবে এগুলোর বাইরেও আরো অনেক কাজ আছে, যা নির্বাচন কমিশন কে করতে হয়।

বাংলাদেশের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনার এর বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে জানলাম। তো এবার আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে জানবো। সেটি হলো, বাংলাদেশের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কে ছিলেন।

তো আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার এর নাম হলো, কবিতা খানম। মূলত তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কবিতা খানম নির্বাচন কমিশন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কত সালে হয়?

সবশেষে আমি আপনাকে প্রয়োজনীয় একটি বিষয় বলবো। সেটি হলো, বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কত সালে হয় তা আমাদের জেনে রাখা দরকার।

তো আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। আর উক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয় লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলো।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

বাংলাদেশে ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন কবে সেটি নিয়ে আজকে বিস্তারিত বলা হয়েছে। এছাড়াও আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে এমন কিছু বিষয় শেয়ার করা হয়েছে। যেগুলো একজন নাগরিক হিসেবে আপনার জানা উচিত।

আর আশা করি, আজকের শেয়ার করা এই তথ্য গুলো আপনার অনেক ভালো লাগবে। তো যদি আপনি বাংলাদেশের নির্বাচনের সকল আপডেট তথ্য সবার আগে পেতে চান। তাহলে Learning Boss এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *