ভিসা প্রসেসিং করতে কত দিন লাগে?

কোনো একটি দেশের ভিসা নিতে গেলে আমাদের অনেক কাজ করতে হয়। সবার প্রথমে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এরপর, আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে। যেমন আপনার পাসপোর্ট, ছবি, আর্থিক প্রমাণ, চিকিৎসা সনদপত্র ইত্যাদি। আর সবশেষে আপনাকে আবেদন ফি প্রদান করতে হবে এবং আপনার আবেদন জমা দিতে হবে।

তারপর ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনপত্র এবং সংযুক্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করবে। তারা ভালোভাবে যাচাই করবে যে, আপনি কোনো ভুল তথ্য বা ডকুমেন্টস প্রদান করছেন কিনা। আর উক্ত কাজটি করার জন্য বেশ কিছু সময়ের দরকার হয়। তাই ভিসা আবেদনের পর থেকে ভিসা হাতে পাওয়া পর্যন্ত সময়কে বলা হয় ভিসা প্রসেসিং টাইম।

ভিসা প্রসেসিং কাকে বলে?

সহজ কথায় বলতে গেলে, ভিসার জন্য আবেদন করার পর থেকে ভিসা ইস্যু করা পর্যন্ত যে সময় লাগে তাকে বলা হয় ভিসা প্রসেসিং। যে কাজটি করার সময় ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনার সমস্ত ডকুমেন্টস যাচাই করে দেখবে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু বিষয় হলো,

  1. আপনার পরিচয় (নাম, ঠিকানা, বয়স, ভোটার কার্ড)
  2. ভ্রমণের উদ্দেশ্য
  3. আর্থিক সামর্থ্য
  4. দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা
  5. আপনার ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা
  6. আপনি কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেন কিনা

ভিসা আবেদন করার পর সেগুলো প্রসেসিং করার প্রথম ধাপে উপরোক্ত কাজ গুলো করা হয়। তবে উক্ত কাজ গুলো কত দ্রুত করা হবে তা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

ভিসা প্রসেসিং হতে কতদিন লাগে?

সাধারনত ২ সপ্তাহ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তুু আপনার ক্ষেত্রে আসলে ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগবে তা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। যেমন, আপনি কোন দেশের নাগরিক, আপনি কোন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করছেন। এছাড়াও আপনি কোন দূতাবাস বা কনস্যুলেটে আবেদন করছেন তার উপরেও ভিসা প্রসেসিং এর সময় নির্ধারন করে। 

তবে ভিসা প্রসেসিং এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উক্ত সময়ে মোট কত গুলো আবেদন জমা আছে। কারণ, আপনি যখন ভিসা আবেদন করবেন তখন যদি কর্তৃপক্ষের নিকট আরো অনেক আবেদন জমা থাকে। তাহলে তাদের সেই আবেদন গুলো যাচাই করতে আরো বেশি সময় লাগবে।

তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব না যে, আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে মোট কতদিন পর্যন্ত সময় লাগবে। কারন ভিন্ন ভিন্ন দেশের জন্য ভিসা প্রসেসিং হতে ভিন্ন সময়ের দরকার হয়। 

ভিসা প্রসেসিং হওয়ার স্বাভাবিক সময় কত?

সাধারন আপনি যদি সকল ডকুমেন্টস দিয়ে সঠিকভাবে ভিসা আবেদন করেন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ৭ কর্মদিবস সময় লাগবে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে, আরও বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ বিভিন্ন দেশ এর ভিন্ন ধরণের ভিসার জন্য প্রসেসিং টাইম ভিন্ন হয়। অপরদিকে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর ছাড়পত্র প্রয়োজন হলে আরো বেশি সময় লেগে যায়।

তবে যদি আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে বেশি সময় নেয় তাহলে উদ্বিগ্ন হবেন না! বরং সঠিক তথ্য জানার জন্য ভিসা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন। সেইসাথে আপনি সঠিকভাবে আবেদন পূরণ করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করবেন।

কোন ভুল করলে ভিসা প্রসেসিং হতে সময় বেশি লাগে?

  1. অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে
  2. নাম, তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদিতে ভুল বানান
  3. পাসপোর্টের ছবির সাথে মিল না খাওয়া
  4. অপ্রাসঙ্গিক কাগজপত্র জমা
  5. কাগজপত্রের ভুল অনুবাদ
  6. অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড থাকা
  7. নিরাপত্তা ঝুঁকির সন্দেহ তৈরি
  8. দেশে ফিরে আসার পরিকল্পনা অনিশ্চিত

ভিসা প্রসেসিং এর কাজ তখনি দ্রুতগতিতে হবে যখন আপনি উপরের বিষয় গুলো গুরুত্ব দিবেন। মনে রাখবেন, আপনার দেওয়া তথ্য ও কাগজপত্র একবারে নির্ভূল হতে হবে। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভিসা চালু আছে। আর সেগুলোর উপর ভিত্তি করে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ভিন্ন সময় দরকার হয়। তাই ভিসা প্রসেসিংয়ের সময় কিসের উপর নির্ভর করে সে গুলো এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে। 

ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কিত এমন অজানা বিষয় জানতে একটিভ থাকুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *