বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজের জন্য সেরা ৫টি দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া শুধু নতুন সংস্কৃতি এবং শিক্ষার অভিজ্ঞতা নয়, বরং পার্ট-টাইম কাজের মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করারও সুযোগ দেয়। অনেক দেশেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পান, যা তাদের খরচ মেটানো থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্যও সহায়ক। চলুন জেনে নিই, ২০২৫ সালে বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজের জন্য সেরা ৫টি দেশ সম্পর্কে।
১) জার্মানি — ফ্রি শিক্ষা ও বেশি কাজের সুযোগ!
কেন জার্মানি সেরা?
- ফ্রি শিক্ষা: বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বিনামূল্যে।
- পার্ট-টাইম কাজ: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বছরে ১২০ দিন পূর্ণকালীন বা ২৪০ দিন অর্ধকালীন কাজ করতে পারে।
- স্নাতকোত্তরের পর সুযোগ: স্নাতক হওয়ার পর ১৮ মাস সময় মেলে কাজ খোঁজার জন্য।
পপুলার পার্ট-টাইম কাজ: ক্যাফে সহকারী, লাইব্রেরি সহকারী, এবং ডেলিভারি ড্রাইভার।
২) কানাডা — পড়াশোনা আর কাজের দারুণ মেলবন্ধন!
কেন কানাডা সেরা?
- কাজের অনুমতি: একাডেমিক সময়ে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা এবং ছুটির সময় পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ।
- PGWPP সুবিধা: Post-Graduation Work Permit Program (PGWPP) এর মাধ্যমে স্নাতকোত্তরের পর স্থায়ী বসবাসের সুযোগ।
- প্রতিবেশী সাপোর্ট: শিক্ষার্থী-বান্ধব পরিবেশ এবং সহজ অভিবাসন নীতি।
জনপ্রিয় পার্ট-টাইম কাজ: কাস্টমার সার্ভিস, ক্যাশিয়ার, এবং টিউটরিং।
৩) অস্ট্রেলিয়া — কাজের সময় অসীম, সুযোগও বেশ!
কেন অস্ট্রেলিয়া সেরা?
- কাজের অনুমতি: সেমিস্টারের সময়ে প্রতি ২ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা এবং ছুটির সময় অসীম ঘণ্টা কাজ করতে পারে।
- Temporary Graduate Visa: স্নাতকোত্তরের পর ১৮ মাস থেকে ৪ বছর পর্যন্ত কাজের সুযোগ।
- সুন্দর জীবনযাপন: আধুনিক শহর, সমুদ্রসৈকত এবং কর্মসংস্থানের অফুরন্ত সুযোগ।
জনপ্রিয় পার্ট-টাইম কাজ: বারিস্টা, কনটেন্ট রাইটার, এবং হসপিটালিটি।
৪) ফ্রান্স — সস্তায় পড়াশোনা আর কাজের সুবিধা!
কেন ফ্রান্স সেরা?
- কাজের অনুমতি: সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা (বা বছরে ৯৬৪ ঘণ্টা)।
- সস্তায় শিক্ষা: অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাশ্রয়ী ফি এবং সরকারি স্কলারশিপের সুবিধা।
- ফ্রেঞ্চ শেখার সুযোগ: ভাষা শেখার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও সুযোগ তৈরি হয়।
জনপ্রিয় পার্ট-টাইম কাজ: রেস্টুরেন্ট কর্মী, ট্যুর গাইড, এবং ইংরেজি টিউটর।
৫) নিউজিল্যান্ড — প্রকৃতি আর পার্ট-টাইমের স্বর্গ!
কেন নিউজিল্যান্ড সেরা?
- কাজের অনুমতি: একাডেমিক বছরে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা এবং ছুটির সময় পূর্ণকালীন কাজ।
- Post-Study Work Visa: স্নাতকোত্তরের পর ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত কাজের ভিসা।
- প্রাকৃতিক পরিবেশ: পাহাড়, সমুদ্র এবং নিরাপদ জীবনযাপন।
জনপ্রিয় পার্ট-টাইম কাজ: খামার কর্মী, বারিস্তা, এবং রিটেইল স্টাফ।
শেষ কথা: কোন দেশ বেছে নেবেন?
বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করতে চাইলে এই পাঁচটি দেশ হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। কাজের সুযোগ, পড়াশোনার খরচ, এবং ভিসার শর্ত দেখে নিজের জন্য সঠিক দেশ বেছে নিন।