কোন কোন দেশে স্পন্সর ভিসা চালু আছে ২০২৪
বিদেশে কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। উন্নত জীবনযাত্রার মান, উচ্চ বেতন এবং কর্ম জীবনের উন্নত সুযোগ – এসবই বিদেশে কাজ করার ক্ষেত্রে অন্যতম দিক। আর স্পন্সর ভিসা হলো এমন একটি মাধ্যম যা আপনার এই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে। তাই আজকের আর্টিকেলে স্পন্সর ভিসা কি এবং কোন কোন দেশে স্পন্সর ভিসা চালু আছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
স্পন্সর ভিসা কি? | What is a sponsored visa?
যখন কোনো একটি বিদেশী কোম্পানি আপনাকে কাজ করার সুযোগ দিবে, থাকার ব্যবস্থা করবে, সেই কোম্পানি আপনার জন্য ভিসা আবেদন করে তখন তাকে বলা হবে, স্পন্সর ভিসা। যার কারণে স্পন্সর ভিসায় বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হবে। তবে এগুলো ছাড়াও স্পন্সর ভিসার বেশ কিছু সুবিধা আছে। সেগুলো হলো,
স্পন্সর ভিসার সুবিধা সমূহ
- স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে আপনি বিদেশী কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
- বেশি বেতনে চাকরি করার সুযোগ।
- বিদেশে কর্মরত অবস্থায় থাকা খাওয়ার সমস্যা থাকবেনা।
- কোম্পানি থেকে অনেক খরচ বহন করার কারণে আপনার খরচ কম হবে।
- উন্নত দেশে উচ্চ জীবনযাত্রা উপভোগ করতে পারবেন।
তবে এই সুবিধা গুলো আপনি তখনি পাবেন যখন আপনি স্পন্সর ভিসায় কোনো দেশে যেতে পারবেন। তাই এখন আমাদের জানতে হবে যে, স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়।
কোন কোন দেশে স্পন্সর ভিসা চালু আছে?
ইউরোপ ভ্রমণ কিংবা কাজ করা যা অনেকের কাছে একটা স্বপ্নের মত। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার – ইউরোপের আকর্ষণ কার না মনে জাগিয়ে তোলে? – কিন্তু ভিসা, টিকিট, থাকা-খাওয়া ইত্যাদি ঝামেলার কারণে এই স্বপ্ন আর পূরন হয়না। বরং ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন শুধুমাত্র স্বপ্নই থেকে যায়।
তবে এসব নিয়ে চিন্তার দিন শেষ কারণ, এখন ইতালি স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন। বর্তমানে ইতালি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য স্পন্সর ভিসা চালু করেছে।
কী এই ইতালি স্পন্সর ভিসা?
ইতালির স্পন্সর ভিসা হলো এক ধরনের কর্মসংস্থান ভিসা। যে ভিসার মাধ্যমে আপনি ইতালিতে কাজের জন্য যেতে পারবেন। তবে আপনি চাইলেই এমন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বরং ইতালিতে থাকা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে স্পন্সর করে তাহলেই আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কাজের ভিসা স্পন্সর করা কতটা কঠিন?
বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে, দক্ষ এবং প্রতিভাবান কর্মী নিয়োগের জন্য কোম্পানি গুলো বিশ্বব্যাপী তাদের কর্মী নিয়োগের চেস্টা অব্যহত রেখেছে। তবে, একজন বিদেশী কর্মীর জন্য কাজের ভিসা স্পন্সর করা বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া। যা নিয়োগকর্তাদের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলা করতে হয়। যেমন,
আইনি জটিলতা
প্রথমত, বিভিন্ন দেশের আইন ও প্রবিধান ভিন্ন ভিন্ন হয়। যার কারণে নিয়োগকর্তাদের জন্য েএকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক বিষয় গুলো সম্পর্কে নিয়োগকর্তাদের আপডেট থাকতে হয়। কারণ, ভুল তথ্য বা অসম্পূর্ণ ভাবে ভিসা আবেদন করলে সেই আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া
আমরা সবাই জানি যে, ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ এবং সময়সাপেক্ষ হয়। কারণ ভিসার জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থার অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর এই কাজ গুলোর জন্য ভিসা হাতে পাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে আরও দীর্ঘায়িত করে। সে কারণে নিয়োগকর্তাদের অনেক ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হয়।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য শুধুমাত্র ইতালি স্পন্সর ভিসা চালু আছে। তবে পরবর্তী সময়ে যদি অন্য কোনো দেশ স্পন্সর ভিসা চালু করে তাহলে এই আর্টিকেল টি পুনরায় আপডেট করা হবে। আর আপনি যদি সেই আপডেট তথ্য গুলো জানতে চান, তাহলে অবশ্যই Learning Boss এর সাথে থাকার চেস্টা করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।