সার্বিয়ার এম্বাসি কবে খুলবে?
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সার্বিয়ার এম্বাসি বাংলাদেশের জন্য কার্যক্রম চালু করেছে। ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ার উদযাপন উপলক্ষে সার্বিয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ অপেক্ষা দীর্ঘ হয়েছিল। তবে, ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে সার্বিয়ার ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।
এই নতুন সূচনা অনেক বাংলাদেশির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেউ ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিলেন, আবার কেউ ভিসা স্টিকার সংগ্রহ করার প্রতীক্ষায় ছিলেন। এম্বাসি চালু হওয়ার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া এখন অনেক সহজতর হবে। সার্বিয়ায় কাজের সুযোগ কিংবা ভ্রমণের জন্য আগ্রহী ব্যক্তিরা এখন থেকে সরাসরি তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
সার্বিয়া এম্বাসি খোলার আপডেট
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর, অবশেষে সার্বিয়ার এম্বাসি বাংলাদেশিদের জন্য আবারও চালু হয়েছে। সার্বিয়ার ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পাশাপাশি, ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ার ছুটির কারণে দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ফলে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ থেমে ছিল, কেউ অপেক্ষা করছিলেন ভিসা স্টিকারের জন্য, আবার কেউ ভিসা এপ্রুভালের জন্য।
অবশেষে ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে সার্বিয়ার এম্বাসি তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। এটি বাংলাদেশের প্রবাসী কর্মী, শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য এক বড় সুখবর। যারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন, তারা এখন তাদের ভিসা প্রসেসিং দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগ পাচ্ছেন। সার্বিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার এই পদক্ষেপ উভয় দেশের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
নতুন বছরে এই কার্যক্রম চালু হওয়া অনেক বাংলাদেশির স্বপ্নপূরণের দরজা খুলে দিয়েছে। তাই যারা ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন বা ভিসার বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছেন, তারা দ্রুততার সাথে তাদের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবেন। সার্বিয়ার এম্বাসির এই পুনরায় চালু হওয়া বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবে ভারতীয়দের ভিসা বন্ধ?
২০২৫ সালে সার্বিয়ার দূতাবাসের কার্যক্রম
সার্বিয়ার দূতাবাস ২০২৫ সালের জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে তাদের ভিসা কার্যক্রম শুরু করেছে, যা ভ্রমণপ্রত্যাশীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যারা আগে থেকেই ভিসা অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় ছিলেন বা স্টিকারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাদের জন্য সুখবর হলো—এই মাসের ২৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাতে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এই আপডেট ভ্রমণ পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দূতাবাসের কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ার ফলে ভিসা পেতে বিলম্বের যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা দূর হয়েছে। ফলে ভ্রমণকারীরা এখন আরও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে পারবেন।
ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে বা অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজন হলে, সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যথাযথ নথি ও নিয়ম মেনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে, ভিসা পাওয়ার পথ আরও সহজ হবে।
আরো পড়ুনঃ ট্যুরিস্ট ভিসায় জটিলতা | পর্যটনের নামে অনিয়ম
সার্বিয়া ও বাংলাদেশি কর্মীর সম্ভাবনা
২০২৫ সালে সার্বিয়া সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত বছর প্রায় ১ লাখ শ্রমিকের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সার্বিয়া। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯-১০ হাজার শ্রমিক সফলভাবে ভিসা পেয়ে দেশটিতে কাজের সুযোগ পেয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিকদের নিয়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল।
এ বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সালে, সার্বিয়া সরকার আরও বড় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এবার প্রায় ২ লাখ কর্মী নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিশাল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া হবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছর বাংলাদেশ থেকে ২০-৩০ হাজার কর্মীর সার্বিয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সার্বিয়া সরকার বর্তমানে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে। ফলে যারা সার্বিয়াতে কাজের সুযোগ খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। সার্বিয়ায় চাকরির বাজারের এই প্রবণতা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে দেশের শ্রমিকদের অবস্থান আরও সুসংহত করবে।
যারা সার্বিয়ার এম্বাসির খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের জন্য সুখবর হলো, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে ভিসা পাওয়ার পথ সহজ হবে। তাই আগ্রহী কর্মীদের উচিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রতি নজর রাখা।
আরো পড়ুনঃ সম্পুর্ণ কোম্পানি খরচে এস্তোনিয়া যাওয়ার নতুন সুযোগ
আপনার জন্য আমাদের মতামত
সার্বিয়ার এম্বাসি পুনরায় চালু হওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়া বহু মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে এবং ভিসা প্রক্রিয়া এখন সহজতর হয়েছে।
২০২৫ সালে সার্বিয়ার ভিসা কার্যক্রম দ্রুত সমাপ্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য কার্যকরী হবে। পাশাপাশি, সার্বিয়া সরকারের ২ লাখ কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। সার্বিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি, এই সুযোগ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।