মাস্টার্স এর পর কি পড়া যায়?

মাস্টার্স শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে যারা গবেষণা বা একাডেমিক ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চান। পিএইচডি (Ph.D) হলো উচ্চশিক্ষার পরবর্তী ধাপ যা আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গভীর জ্ঞান এবং গবেষণা দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে।

পিএইচডি করতে ইচ্ছুক হলে প্রথমে আপনার মাস্টার্স বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নেট (NET – National Eligibility Test) বা সেট (SET – State Eligibility Test) পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষা গুলো পাস করলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ভাইভা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়া, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ এলিজিবিলিটি টেস্ট (RET) আয়োজন করে। আপনি RET উত্তীর্ণ হলে ভাইভা দিয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

মাস্টার্স এর পর কি পড়া যায়? | Post-Masters Studies

মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর যদি আপনার পিএইচডি করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনাকে কিছু বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। জাতীয় স্তরে NET (National Eligibility Test) এবং ভিন্ন স্তরে SET (State Eligibility Test) এই দুই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি পিএইচডি করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। এই পরীক্ষা গুলো পাস করলে আপনি সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সাক্ষাৎকার (Viva) দিতে পারবেন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রবেশের জন্য আলাদাভাবে RET (Research Eligibility Test) পরীক্ষাও নেওয়া হয়। RET পাস করার পরও আপনাকে Viva দিতে হবে। আর Viva তে ভালো ফলাফল করলে আপনি পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

আরো পড়ুনঃ সমমান ডিগ্রি মানে কি? | Equivalent degree means

পিএইচডি-এর খরচ এবং স্কলারশিপের সুযোগ

পিএইচডি করার জন্য খরচ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিষয় ভেদে ভিন্ন হয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া এবং সাধারণত প্রতিবছর কিছু নির্দিষ্ট খরচ বহন করতে হয়। তবে খরচ কমানোর জন্য এবং আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

যদি আপনি NET পরীক্ষায় ভালো স্কোর করেন, তাহলে আপনার JRF (Junior Research Fellowship) পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। JRF এর মাধ্যমে আপনি মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্কলারশিপ নিতে পারবেন, যা পিএইচডি প্রোগ্রামের খরচ পরিচালনা করতে যথেষ্ট সহায়তা করবে। এই স্কলারশিপ গবেষণার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য খরচ যেমন, ল্যাবরেটরি ফি, সরঞ্জাম বা গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণেও সাহায্য করবে।

পিএইচডি-এর উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন

পিএইচডি করার সময় বিষয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাস্টার্স ডিগ্রির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন একটি বিষয় বেছে নেওয়া উচিত, যেখানে আপনি গবেষণায় আগ্রহ অনুভব করেন এবং ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। বিষয় নির্বাচন শুধু আপনার গবেষণার মানই নির্ধারণ করবে না, বরং এটি পিএইচডি প্রক্রিয়ার প্রতি আপনার আগ্রহ এবং ধৈর্যের উপরও প্রভাব ফেলবে।

আরো পড়ুনঃ এম এ পাস মানে কি | MA pass means

পিএইচডি করার যোগ্যতা কি?

পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চাইলে প্রার্থীকে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়, যা শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণামূলক দক্ষতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত। নিচে এই যোগ্যতা গুলো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।

শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির মূল ভিত্তি। প্রার্থীকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করতে হবে অথবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান ডিগ্রি এবং ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও, ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান এবং ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে সকল ক্ষেত্রে, একাডেমিক পর্যায়ে ন্যূনতম ৫০% নম্বর বা সিজিপিএ ৫-এর মধ্যে ৩.৫ অথবা ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও ৩ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্মান এবং ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা আবশ্যক। তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অথবা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ২ বছরের গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া, সরকারি, বেসরকারি বা স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানে ২ বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতাও গ্রহণযোগ্য।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

মাস্টার্স শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য অসংখ্য সুযোগ বিদ্যমান, বিশেষ করে যারা একাডেমিক গবেষণায় ক্যারিয়ার গড়তে চান। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আপনাকে NET, SET বা RET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। পিএইচডি করতে খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়, তবে স্কলারশিপ বা JRF এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। তো মাস্টার্স এর পর কি পড়া যায় সে বিষয়ে লেখা আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। নতুন সব তথ্য বিনামূল্যে পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *