চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম

New rules for check dishonor cases: আপনারা অনেকেই চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। তো তাদের বলে রাখি যে, বর্তমান সময়ে চেক সংক্রান্ত ডিজঅনার মামলার একটি নতুন নিয়ম করা হয়েছে।

আর উক্ত নিয়ম এর মধ্যে উল্লেখ করা আছে, ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় যে ব্যক্তি দন্ডাদেশের আওতায় থাকবে। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন আপীল করা হবে। তখন তার দন্ডাদেশের মধ্যে উল্লেখ থাকা অর্থের প্রায় ৫০% টাকা বিচারিক আদালত এর মধ্যে জমা দিতে হবে। আর উক্ত অর্থ জমা দেওয়ার পরে আপীল করা যাবে।

কিভাবে চেক ডিজঅনার লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবেন?

যখন আপনি চেক ডিজঅনার এর আওতায় থাকবেন। তখন আপনাকে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সেই চেক দাতাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে দিতে হবে। আর উক্ত লিগ্যাল নোটিশ আপনি মোট ০৩ টি পদ্ধতি তে পাঠাতে পারবেন। সেগুলো হলো,

  1. নোটিশ গ্রহীতার হস্তান্তর নোটিশ প্রদান করা।
  2. ডাকযোগে চেক প্রদানকারী ঠিকানায় এবং স্থায়ী ঠিকানাতে প্রদান করা।
  3. বাংলাদেশের কোনো জাতীয় স্বারকলিপি তে নোটিশ প্রদান করা।

কখনও যদি আপনি চেক প্রতারনার মধ্যে পড়েন। তাহলে আপনি সেই চেক দানকারী ব্যক্তির উপর কিভাবে প্রথম পদক্ষেপ নিতে পারবেন। সেই পদ্ধতি গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে উক্ত নোটিশ প্রদান করার আগে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি তথ্য উল্লেখ করে দিতে হবে। যেমন, আপনাকে দেওয়া চেকটি কোন ব্যাংক এর তা উল্লেখ করে দিতে হবে। কিংবা যদি সেই চেকটি অন্য কোনো সংস্থার হয়ে থাকে। তাহলে আপনি সেই সংস্থার নাম উল্লেখ করে দিবেন।

আরো পড়ুনঃ চেক মামলা থেকে বাঁচার উপায়

চেক ডিজঅনার এর প্রতারনা করলে কি শাস্তি হতে পারে?

কোনো ভাবে যদি আপনি অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে চেক ডিজঅনার এর প্রতারনা করেন। তাহলে কিন্তুু আইনের চোখে আপনি দন্ডনীয় একজন অপরাধী। সেক্ষেত্রে আপনার এই প্রতারনা করার জন্য কি রকম শাস্তি হতে পারে। সেটা সম্পূর্ণ আদালত থেকে রায় দেওয়া হবে।

তবে সাধারন ভাবে বলা যায় যে, এই ধরনের প্রতারনার জন্য আদালত জেল দেয়। আবার নিয়ম অনুযায়ী এই অপরাধের জন্য জালিতার মোট টাকার তুলনায় প্রায় ০৩ গুন টাকা বেশি জরিমানা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই সর্বদা এই ধরনের চেক ডিজঅনার এর মতো অপরাধমূলক কাজ থেকে সর্বদাই বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।

আরো পড়ুনঃ রেফারেন্স নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক

চেক ডিজঅনার মামলা করলে বাদীকে কি কি প্রমাণ করতে হবে?

দেখুন, কেউ আপনার সাথে চেক প্রতারনা করলো আর আপনি মামলা করলেই হবেনা। বরং আদালত এর মধ্যে আপনাকে প্রতারনা করার সঠিক তথ্য দিতে হবে। আর আপনি আসলে কোন কোন তথ্য গুলো প্রদান করবেন। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,

  1. আসামী বাদি পক্ষকে চেক প্রদান করেছেন। 
  2. দায় বা কোনো দেনার কারণে সেটি পরিশোধের লক্ষ্যে আসামী চেক প্রদান করেছেন। 
  3. উক্ত দায় ও দেনা আইনগত ভাবেও পরিশোধ করার যোগ্য। 
  4. চেক ডিজঅনার এর সময় থেকে প্রায় ৩০ দিনের ভিতরে আসামীকে টাকা পরিশোধ এর জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর ডকুমেন্টস। 
  5. যদি আপনার উভয় পক্ষ (বাদী/আসামী) ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিলো তার প্রমাণ।

তো যখন আপনি অন্য কোনো ব্যক্তির নামে চেক ডিজঅনার এর মামলা করবেন। তখন আদালত এর রায়ের জন্য আপনাকে কি কি তথ্য ও ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে। সেগুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আর আপনিও এই প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো আপনার সাথে রাখবেন।

আরো পড়ুনঃ জমির খাজনা চেক করার উপায়

আপনার জন্য কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাকে চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। তো আশা করি, এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর চেক সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন। আর সময় পেলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *