বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদন সহজ করলো মেক্সিকো দেখুন কিভাবে আবেদন করবেন

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মেক্সিকো সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ভ্রমণ ও বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে মেক্সিকো বাংলাদেশিদের জন্য আরও অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আর এই ঘোষণাটি এমন একটি সময়ে এসেছে, যখন ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতার কারণে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের মধ্যে হতাশার ছাঁয়া পড়েছিলো।

রোববার, ১ ডিসেম্বর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, বাংলাদেশিরা এখন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো মেক্সিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে তাদের ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশেও মেক্সিকোর দূতাবাসে একই সুযোগ পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের সাথে মেক্সিকোর নতুন সম্পর্কের সম্ভাবনা

মেক্সিকোর উদার ভিসা নীতির নতুন সম্ভাবনা বাংলাদেশের জন্য এক অসাধারণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে, এই উদ্যোগ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে, যা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।

এছাড়া, এই নীতির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পথ আরও প্রশস্ত হবে। দুই দেশের মানুষ একে অপরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলবে।

সবচেয়ে বড় কথা, সাধারণ জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে, যা শিক্ষা, পর্যটন এবং পেশাদারী আদান-প্রদানের সুযোগকে বহুগুণ বাড়িয়ে তুলবে। এই নীতি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যার ফলে উভয় দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে বিশ্লেষক মহল।

বৈশ্বিক যোগাযোগ ও পুরনো জটিলতার সমাপ্তি

মেক্সিকোতে ভ্রমণ এখন আরও সহজ এবং সুবিধাজনক। মেক্সিকোর অভিবাসন নীতিমালা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু দেশের ভ্রমণকারীরা বৈধ পাসপোর্ট এবং কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান বা শেনজেন অঞ্চলের ভিসা থাকলে মেক্সিকোতে ভিসা ছাড়াই ১৮০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। এটি বৈশ্বিক যোগাযোগকে সহজ করেছে এবং ভ্রমণকারীদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে।

আগে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য মেক্সিকোর ভিসা পেতে শুধুমাত্র নয়া দিল্লিতে অবস্থিত মেক্সিকোর দূতাবাসে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং অনেক ক্ষেত্রেই ব্যয়সাপেক্ষ। তবে, নতুন ব্যবস্থায় বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের যেকোনো মেক্সিকান দূতাবাসে ভিসার আবেদন জমা দিতে পারবেন। 

মেক্সিকো ওয়ার্ক পারমিট ও কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসা

মেক্সিকোতে কাজের সুযোগ গ্রহণ করতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিট এবং কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দেশের মতো মেক্সিকোতে প্রথাগত ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সরাসরি আবেদন করা হয় না। এর পরিবর্তে, প্রবাসীদের মেক্সিকোর দুটি প্রধান রেসিডেন্সি পারমিটের যেকোনো একটির জন্য আবেদন করতে হয়। যেমন,  

  1. টেম্পোরারি রেসিডেন্সি (রেসিডেন্ট টেম্পোরাল) 
  2. অথবা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (রেসিডেন্ট পার্মানেন্ট)।

টেম্পোরারি রেসিডেন্সি সাধারণত সীমিত সময়ের জন্য প্রদান করা হয় এবং এটি ১ থেকে ৪ বছরের জন্য বৈধ থাকে। এটি তাদের জন্য উপযুক্ত যারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মেক্সিকোতে কাজ করতে চান। অন্যদিকে, পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি দীর্ঘমেয়াদি চাকরি বা স্থায়ী বসবাসের জন্য উপযোগী, যা মেক্সিকোতে স্থায়ী জীবন গড়ার সম্ভাবনা তৈরি করে।

রেসিডেন্সি পারমিট পেতে হলে আপনাকে মেক্সিকোতে চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আপনার নিয়োগকর্তা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করবে। সেইসাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়া এবং নির্দেশনা অনুসরণ করাই এই প্রক্রিয়ার মূল চাবিকাঠি।

মেক্সিকো কাজের ভিসার খরচ

মেক্সিকোতে কাজের জন্য ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিটের খরচ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। একটি ওয়ার্ক ভিসা এবং পারমিটের জন্য আবেদনের ফি সাধারণত প্রায় USD $2,000 বা মেক্সিকান পেসোতে (MXN) 33,196। যদি আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পারমিট নবায়ন করতে চান, তখন এর খরচ USD $1,000 থেকে $3,000 বা MXN 16,598 থেকে 49,795 পর্যন্ত হতে পারে।

মেক্সিকো ভিসা খচর

মেক্সিকো ভিসা খচর

তবে এই খরচ নির্ভর করে আপনি কত দিনের জন্য পারমিট চান তার উপর। স্বল্পমেয়াদী কাজের জন্য খরচ কম হলেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার জন্য খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। মেক্সিকোর কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ এবং প্রক্রিয়াটি একটু জটিল মনে হতে পারে, কিন্তু সঠিক নির্দেশনা মেনে চললে এটি সহজেই সম্পন্ন করা সম্ভব।

মেক্সিকান ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসা আবেদনপত্র 

মেক্সিকান ওয়ার্ক পারমিট বা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ। আপনি যেকোনো ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেজন্য আপনার শুধুমাত্র একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। এই আবেদনপত্রটি আপনি মেক্সিকো সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। 

  • মেক্সিকো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনপত্রঃ Download

উক্ত আবেদনপত্রটি পূরণ করার সময়, ডানদিকের নিচের অংশে আপনার আবেদন করা ভিসা বা পারমিটের ধরণ নির্বাচন করতে হবে। তবে মনে রাখবেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ সঠিক ভিসা নির্বাচন করার মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পর, আবেদনপত্রটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে।

মেক্সিকোতে কাজ করার জন্য এই আবেদনপত্রের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দসই ভিসা বা পারমিট পাওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে, আবেদন করার আগে নিশ্চিত করুন যে আপনি সমস্ত নির্দেশনা অনুসরণ করছেন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করছেন। অন্যথায় আপনার ভিসা আবেদন জমা হলেও চুড়ান্ত পর্যায়ে আপনার ভিসা প্রসেসিং এর কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

মেক্সিকো ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

মেক্সিকোতে কাজ করতে চাইলে, অধিকাংশ কর্মচারীর জন্য একটি স্থায়ী আবাসিক ভিসা প্রয়োজন, তবে সব কর্মচারী এই ভিসার জন্য যোগ্য হয়না। স্থায়ী আবাসিক ভিসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়, যেমন মেক্সিকোতে পারিবারিক সংযোগ থাকা, পর্যাপ্ত মাসিক আয় থাকা এবং অস্থায়ী আবাসিক ভিসা ধারক হিসেবে চার বছর মেক্সিকোতে থাকা। আর মেক্সিকোতে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছু প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। এই নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে, 

  1. একটি পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদনপত্র, 
  2. বৈধ পাসপোর্ট, 
  3. মাইগ্রেটরি ডকুমেন্টের কপি, 
  4. আপনার বর্তমান ফটো 
  5. সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণপত্র,
  6. আবেদনকারীর আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ, 
  7. কর্মসংস্থান, 
  8. মেক্সিকান নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্কের বৈধ প্রমাণও ইত্যাদি,

তবে সময়ের সাথে সাথে যদি আরো অন্য কোনো ডকুমেন্টস এর দরকার হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। মনে রাখবেন, ভিসা আবেদনের সময় যেসব ডকুমেন্টস বা নথি প্রদান করবেন, সেগুলোতে কোনো প্রকার ভুল তথ্য থাকা যাবেনা। 

মেক্সিকো ওয়ার্ক পারমিট আবেদন প্রক্রিয়া

মেক্সিকোতে কাজের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হলেও, যথাযথভাবে অনুসরণ করলে এই বিষয়টি আপনার সহজ এবং সুশৃঙ্খল মনে হবে। প্রথমে, নিয়োগকর্তাদের বিদেশী কর্মচারীকে একটি চাকরির অফার লেটার প্রদান করতে হবে। যা উক্ত চাকরির প্রকার, সময়কাল এবং বেতনসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সঙ্গে নিশ্চিত করবে যে বিদেশী নাগরিক মেক্সিকোতে চাকরির জন্য উপযুক্ত। 

ফেডারেল লেবার আইন অনুযায়ী, বিদেশী কর্মচারীদের জন্য কিছু শর্ত থাকতে হবে, যেমন প্রযুক্তিগত পদে কাউকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে মেক্সিকান নাগরিকদের দ্বারা নেওয়া যাবে না।

এরপর নিয়োগকর্তাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সহ INM (National Institute of Migration) এ ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। INM কোম্পানির অবস্থান এবং আবেদনকারীর কেস অনুযায়ী যাচাই করে আবেদন অনুমোদন করবে, যা প্রায় 30-45 দিন সময় নিতে পারে। প্রয়োজনে এর থেকেও বেশি সময় নিতে পারে। আর অনুমোদনের পর, নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়।

ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদিত হলে, কর্মচারীকে ভিসার জন্য কনস্যুলেটে আবেদন করতে হবে। এই প্রক্রিয়া শুরু করার আগে, কর্মচারীকে মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল প্রমাণ করতে হবে। সাক্ষাৎকারের জন্য কনস্যুলেট একটি সময় নির্ধারণ করবে, উক্ত সাক্ষাৎকারের পাঁচ দিন আগে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

কনস্যুলেট থেকে ভিসা অনুমোদনের পর, কর্মচারীকে মেক্সিকোতে যেতে হবে এবং মাইগ্রেশন অফিসে পৌঁছানোর পর তাদের ভিসার ধরণের ভিত্তিতে সেখানে থাকার সময়কাল নিশ্চিত করা হবে। মেক্সিকো পৌঁছানোর পর, কর্মচারী এবং তার পরিবারকে 30 দিনের মধ্যে INM-এর সঙ্গে নিবন্ধন করতে হবে। তারপর সবকিছু ঠিকঠাক হলে, সেই কর্মচারী তাদের নিয়োগকর্তার সঙ্গে কর্মসংস্থানে কাজ শুরু করতে পারবেন।

মেক্সিকো কাজের ভিসা প্রসেসিং হতে কতক্ষণ সময় লাগে?

মেক্সিকোতে কাজের ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। তবে, এটি নির্ভর করে আপনার আবেদন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলোর উপর। কিছু ক্ষেত্রে, আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়, আবার কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি আরও সময় নেয়।

আপনার কাজের ভিসার আবেদন যখন শুরু করবেন, তখন আপনাকে মেক্সিকোর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র এবং তথ্য জমা দিতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া যত দ্রুত এবং সঠিকভাবে পূর্ণ হবে, ঠিক ততোটাই দ্রুতভাবে আপনার ভিসা প্রসেস হবে। এছাড়া, ভিসা প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অস্পষ্ট তথ্য থাকলে তা আবেদন প্রক্রিয়াকে অনেক ধীরগতিতে ফেলে দিবে। তাই আবেদন করার আগে সকল তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে নিবেন। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

মেক্সিকোতে কাজ ও ভ্রমণের জন্য ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট প্রক্রিয়া বাংলাদেশিদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই সুবিধাজনক নীতি বৈশ্বিক যোগাযোগ সহজতর করার পাশাপাশি দুই দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। মেক্সিকোর উদার ভিসা নীতি এবং সহজ প্রক্রিয়া বাংলাদেশি ভ্রমণকারী ও কর্মীদের জন্য অনন্য সুযোগ তৈরি করেছে, যা শিক্ষাগত, পেশাদার এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ধন্যবাদ এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *