বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার এর তালিকা

List of BMET Training Centers: বিদেশে যাওয়ার আগে আপনার অবশ্যই বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করে নেওয়া উচিত। আর যখন আপনি সফল ভাবে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। তখন পরবর্তী সময়ে আপনাকে একটি বিএমইটি কার্ড প্রদান করা হবে। আর সবশেষে আপনি উক্ত কার্ড এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

তবে তার আগে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার এর তালিকা সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার আছে। যেখান থেকে আপনি রেজিষ্ট্রেশন করে প্রশিক্ষন নিয়ে বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার এর তালিকা

তো এবার আমি আপনাকে কিছু পিডিএফ ফাইল এর লিংক প্রদান করবো। উক্ত পিডিএফ ফাইল গুলো থেকে আপনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে থাকা বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার এর নাম জানতে পারবেন। আর উক্ত পিডিএফ ফাইল এর লিংক নিচে প্রদান করা হলো। যেমন, 

  1. বিআইএমটি, আইএমটি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) সমূহের তালিকা
  2. বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষন এর তালিকা

আপনি যদি উপরে দেওয়া লিংক গুলোতে ক্লিক করেন। তাহলে আপনি আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে থাকা সকল বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার এর নাম ও ঠিকানা জানতে পারবেন। আশা করি, এই তালিকা গুলো আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

বিএমইটি বলতে কি বোঝায়?

প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয় এর একটি প্রতিষ্ঠান এর নাম হলো, বিএমইটি। আর বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে যেসব মানুষ বৈধ ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেতে চান। তাদের জন্য সবার আগে বিএমইটি থেকে অনুমতি গ্রহন করতে হবে। তবে এই অনুমতি সব ধরনের মানুষকে প্রদান করা হয়না।

কেননা, উক্ত অনুমতি পেতে হলে আপনাকে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আপনাকে তাদের নিকট থেকে প্রশিক্ষন নিতে হবে। এরপর আপনাকে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করে। আর যখন আপনি এই কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন, তখন আপনাকে একটি সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

বিএমইটি কার্ড চেক ও ডাউনলোড করার উপায়

যখন আপনার বিএমইটি কার্ড এর কাজ সম্পূর্ণ হবে। তখন আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে আপনার বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কিন্তুু আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে, কিভাবে সেই কার্ড চেক ও ডাউনলোড করতে হয়।

তো যদি আপনি অনলাইন থেকে উক্ত কার্ড ডাউনলোড করে নিতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে আমি প্রবাসী এর মূল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। অথবা আপনি চাইলে আমি প্রবাসী অ্যাপস থেকেও আপনার কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আর যখন আপনি আমি প্রবাসী এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। তারপর আপনাকে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার টি প্রদান করতে হবে। এরপর আপনাকে একটি সহজ ক্যাপচা কোড পূরন করতে হবে। তারপর সবশেষে আপনাকে সার্চ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

যখন আপনি উক্ত কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন। তারপর আপনি আপনার বিএমইটি কার্ডটি অনলাইনে পিডিএফ ফাইল হিসেবে দেখতে পারবেন। মূলত আপনি সেই পিডিএফ ফাইল টি পরবর্তী সময়ে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

বিএইটি কার্ড পেতে হলে কি কি লাগবে?

যখন আপনি বিএমইটি কার্ড এর জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনাকে আরো বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। আর সেই তথ্য গুলোর তালিকা নিচে প্রদান করা হলো। যেমন,

  1. আপনার আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে।
  2. অঙ্গীকার পত্র জমা দিতে হবে।
  3. অনাপত্তিপত্র দিতে হবে।
  4. কল্যান ফি জমা দিতে হবে।

মূলত উপরের তালিকায় আপনি যেসব তথ্য দেখতে পাচ্ছেন। সেই তথ্য গুলোর মাধ্যমে আপনি বিএমইটি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তারপর আপনি আপনার কাঙ্খিত বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে মোট কতগুলো বিএমইটি ট্রেনিং সেন্টার আছে। সেগুলোর তালিকা আজকে শেয়ার করা হয়েছে। তো আশা করি, আজকের শেয়ার করা তথ্য গুলো আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।

আর আপনি যদি এমন ধরনের অজানা বিষয় গুলোকে সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *