মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা বৃদ্ধি

Increasing demand for Bangladeshi workers in the Middle East: ১১ ফেব্রুয়ারি, আবুধাবি ডায়লগের দ্বিতীয় দিনে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাদা বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এই বিষয়টি তুলে ধরেন।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণে বাংলাদেশের অঙ্গীকার

উক্ত বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী শ্রমিক রফতানিতে বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমরা দক্ষ শ্রমিক রফতানিতে সচেষ্ট এবং এর জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও প্রোগ্রাম পরিচালনা করছি।”

চাহিদাসম্পন্ন খাত

ইউএই ও সৌদি আরব স্বাস্থ্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন এই খাত গুলোতে দক্ষ শ্রমিক সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশের সাফল্য

বৈঠকে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “বৈঠকে বাংলাদেশ দারুণ সাড়া পেয়েছে। ইউএই ও সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে যতেষ্ট আগ্রহী। তবে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য তাদের কিছু পরামর্শ রয়েছে। আমরা সে বিষয় গুলোতে জোর দেব।”

আবুধাবি ডায়লগের খসড়া

আবুধাবি ডায়ালগে দুই দিনের আলোচনা শেষে একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। শ্রমিক প্রেরণকারী ও গ্রহণকারী দেশ গুলোর অংশগ্রহণে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যার ভিত্তিতে আগামী দুই মাস পর একটি ঘোষণা জারি করা হবে। এই ঘোষণায় শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ গুলো কীভাবে কাজ করবে, তাদের দক্ষ শ্রমিক প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে শ্রমিক সরবরাহের বিষয়টি ঠিক করা হবে।

কেন এই খবরটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

তো অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, বাংলাদেশি মানুষদের জন্য এই খবরটি কেন গুরুত্বপূর্ণ। আর এমন প্রশ্নের উত্তরে বলবো, এমন অনেক কারন আছে যার জন্য এই খবর টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, 

মধ্যপ্রাচ্যের সাথে শ্রম বাজারের সম্পর্ক

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যার কারণে এই দুই দেশের মধ্যে শ্রম বাজারের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। যার ফলে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও দুই দেশের সাথে বাংলাদেশের সরকারিভাবে শ্রমিক নিয়োগের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হবে। যার ফলে শ্রমিকদের নিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নিয়মিতি ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

দক্ষ শ্রমিকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি

আমরা সকলেই জানি, দক্ষ শ্রমিকরা অদক্ষ শ্রমিকদের তুলনায় অনেক বেশি বেতন পায়। তাই আমাদের দেশ থেকে যখন দক্ষ শ্রমিক রফতানি বৃদ্ধি পাবে তখন বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ও অনেক বৃদ্ধি পাবে।

আর দক্ষ শ্রমিকরা দেশে ফিরে এসে তাদের আয় দিয়ে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারবে। এছাড়াও তারা তাদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে পারে এর ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। 

আবার এমন অনেক দক্ষ শ্রমিক আছেন যারা দেশে ফিরে এসে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে যায়। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি আসবে এবং আরো নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আপনার জন্য আমাদের শেষকথা

আমাদের বাংলাদেশ থেকে যারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যেতে চান তাদের জন্য এই লেখাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন, ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশের রেমিট্যান্স বেড়ে যাবে। 

তো আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশ বিদেশের শ্রমিক নিয়োগের আপডেট তথ্য গুলো শেয়ার করি। আপনি যদি সবার আগে সেই অজানা তথ্য গুলো বিনামূল্যে পেতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *