জার্মানিতে চাকরি পেতে হলে কী করতে হবে? আবেদন করবেন যেভাবে
২০২৫ সালে জার্মানি রেকর্ডসংখ্যক বিদেশি কর্মী নিচ্ছে – প্রায় ৮০,০০০ জন! মূলত স্কিলড ওয়ার্কারদের জন্য ইউরোপের অন্যতম সেরা সুযোগ এখন জার্মানি। IT, হেলথকেয়ার, নির্মাণ, ইঞ্জিনিয়ারিং, হসপিটালিটি – এসব খাতে বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, ভারত, নাইজেরিয়া থেকে প্রচুর লোক নিচ্ছে জার্মানি।
জার্মানিতে চাকরি পাওয়ার ধাপগুলো
১. পেশা নির্ধারণ ও চাহিদা যাচাই
প্রথমে জার্মানিতে কোন কোন পেশায় লোক প্রয়োজন তা যাচাই করুন। সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পেশাগুলো:
- নার্স ও কেয়ারগিভার
- নির্মাণ শ্রমিক
- ইলেক্ট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ান
- সফটওয়্যার ডেভেলপার ও IT এক্সপার্ট
- রেস্টুরেন্ট ও হোটেল স্টাফ
রেফারেন্স: Make it in Germany – Official Portal
২. প্রোফাইল তৈরি ও সিভি আপডেট
- ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে সিভি তৈরি করুন (Europass format)।
- প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা ও ভাষা দক্ষতা (বিশেষত জার্মান ভাষা A2/B1) উল্লেখ করুন।
- প্রোফেশনাল LinkedIn প্রোফাইল তৈরি বা হালনাগাদ করুন।
৩. জব পোর্টাল থেকে চাকরি খোঁজা
বিশ্বস্ত কিছু ওয়েবসাইট:
৪. চাকরির জন্য আবেদন
- নির্দিষ্ট কোম্পানিতে অনলাইনে আবেদন জমা দিন।
- নিয়োগকর্তা যদি আগ্রহী হয়, তারা সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকবে এবং পরবর্তীতে আপনাকে জব অফার লেটার দেবে।
চাকরি পেলে ভিসার জন্য যা করবেন
১. জার্মান এমপ্লয়মেন্ট ভিসার ধরণ:
National Visa (D Type) for Employment
২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- পাসপোর্ট (৬ মাসের বেশি মেয়াদসহ)
- জব অফার লেটার ও কন্ট্রাক্ট
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- ভাষা সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
- মেডিকেল ইনস্যুরেন্স
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- ব্লকড অ্যাকাউন্ট অথবা কোম্পানির আর্থিক স্পন্সরশিপ প্রমাণ
৩. ভিসা ফি:
প্রায় €৭৫ ইউরো (প্রায় ৯,০০০ টাকা)
৪. ভিসা প্রসেসিং টাইম:
সাধারণত ৪-১২ সপ্তাহ
ভিসা আবেদন করতে হবে: জার্মান দূতাবাস, ঢাকা (বা নিজ দেশের জার্মান দূতাবাসে)
টিপস
- জার্মান ভাষা A2/B1 জানা থাকলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
- যারা হসপিটালিটি বা কেয়ার কাজ খুঁজছেন, তারা আগেই আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট নিয়ে রাখুন (যেমন: IELTS, Caregiver course)।
- “Job Seeker Visa” নামক আলাদা একটি ভিসা আছে, যা নিয়েও আপনি জার্মানিতে গিয়ে চাকরি খুঁজতে পারেন।
সোর্স ও রেফারেন্স
আপনি যদি জার্মানিতে কাজের সুযোগ চান, এখনই সিভি রেডি করে উপরের ওয়েবসাইটগুলোতে আবেদন শুরু করুন!