ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগে?
How much does it cost to go to France?: প্রবাস জীবনে কাজের জন্য অন্য কোনো দেশ যেতে চাইলে ফ্রান্স যাওয়ার চিন্তা করবেন। কেননা, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কাজের ভিসায় ফ্রান্স যাচ্ছে।
তো আপনি যদি আমাদের দেশ থেকে কাজের ভিসায় ফ্রান্স যেতে চান। তাহলে আপনার কি কি লাগবে, কত টাকা খরচ হবে সেগুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্স যেতে কত টাকা লাগে তা আপনার ভিসার উপর নির্ভর করবে। তবে যদি আপনি বর্তমান সময়ে কাজের ভিসায় ফ্রান্স যেতে চান। তাহলে স্বাভাবিক ভাবে আপনার ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ হবে।
অপরদিকে যদি আপনি কোনো বেসরকারি এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ফ্রান্স কাজের ভিসার আবেদন করেন। তাহলে আপনার এর থেকেও অনেক বেশি টাকা লাগবে।
আরো পড়ুনঃ নেদারল্যান্ডস স্টুডেন্ট ভিসা
কেন কাজের ভিসায় ফ্রান্স যাবেন?
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে যে, পৃথিবীতে এতো কাজের দেশ থাকতে কেন আমরা ফ্রান্সে যাবো। তো যদি আপনি ফ্রান্সে কাজের ভিসায় যান। তাহলে আপনি বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আর এবার আমি আপনাকে সেই সুবিধা গুলো জানিয়ে দিবো। যেমন,
- অন্যান্য দেশের তুলনায় ফ্রান্সে কাজের তুলনায় ভালো বেতন পাওয়া যায়।
- এই দেশে কাজ করলে আপনি পশ্বিমা সংস্কৃতির সাথে মিশতে পারবেন।
- ফ্রান্সের অধিকাংশ দেশের মধ্যে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
- এই দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত।
তো যারা আমাদের বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় ফ্রান্স যাবেন। তারা আসলে কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেই সুবিধা গুলো উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে।
ফ্রান্স কাজের ভিসা আবেদন করতে কি কি লাগে?
কোনো একটি দেশে কাজের ভিসায় যেতে হলে জব অফার লেটার এর দরকার হয়। তবে যখন আপনি ফ্রান্স যাওয়ার জন্য কাজের ভিসার আবেদন করবেন। তখন আপনার নিকট জব অফার লেটার ছাড়াও আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস এর দরকার হবে। যেগুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- একটি বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ সর্বনিন্ম ০১ বছর থাকতে হবে।
- আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
- কাজের দক্ষতার প্রমানপত্র।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ।
- জব অফার লেটার।
- মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট।
উপরের তালিকায় আপনি যেসব ডকুমেন্টস এর নাম দেখতে পাচ্ছেন। মূলত সে ডকুমেন্টস এর মাধ্যমে আপনি ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদন করার জন্য আপনাকে কি কি নিয়ম ফলো করতে হবে। সেই নিয় গুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ ডেনমার্ক স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
কিভাবে ফ্রান্সের কাজের ভিসা পাওয়া যায়?
আপনি চাইলে সহজ কিছু পদ্ধতি অনুসরন করে ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে যেসব নিয়ম ফলো করতে হবে। সেই নিয়ম গুলো নিচের তালিকায় উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- সবার প্রথমে আপনাকে একটি জব অফার লেটার নিতে হবে।
- তারপর আপনি তাদেরকে আপনার হয়ে ভিসা আবেদন করতে বলবেন।
- যদি তারা আবেদন না করে তাহলে আপনাকে দুতাবাসে যেতে হবে।
- তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করতে হবে।
- এরপর আপনাকে ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
- সবশেষে আপনাকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আপনি চাইলে নিজে দুতাবাসে গিয়ে ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তুু যদি আপনার পক্ষে এই কাজ গুলো করা সম্ভব না হয়। তাহলে আপনি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমেও ভিসা আবেদন করার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে সাবধানতা
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে এমন অনেক ধরনের এজেন্সি আছে। যারা আপনাকে ফ্রান্সে যাওয়ার প্রলভোন দেখিয়ে সব অর্থ হাতিয়ে নিবে। তাই যদি আপনি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রান্স কাজের ভিসার আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বিএমইটি কার্ড করতে কত টাকা লাগে?
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
আপনারা যারা ফ্রান্স কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আজকের শেয়ার করা তথ্য গুলো আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন জাগে। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।
আর ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন