সেনজেন ভিসার খরচ কত?

How much does a Schengen visa cost?: আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত সেনজেন ভিসা নিতে চায়। আর সে কারণে তারা জানতে চায় যে, সেনজেন ভিসার খরচ কত।

আর আপনিও যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে শুনে রাখুন, বর্তমান সময়ে সেনজেন এলাকায় প্রবেশ করার জন্য আপনাকে ৬০ ইউরো হিসেবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফি প্রদান করতে হবে।

তবে সেনজেন ভিসা ফি মূলত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। সেক্ষেত্রে ভিসা আবেদনকারী ব্যক্তির বয়সের উপর নির্ভর করে ভিসা ফি নির্ধারণ করা হয়। যেমন,

  1. প্রাপ্ত বয়স্ক আবেদনকারীর জন্য ভিসা ফি ৫ হাজার টাকা।
  2. ০৬ থেকে ১২ বছর বয়সী আবেদনকারীর জন্য ভিসা ফি ২৯০০ টাকা।
  3. ০৬ বছর এর কম আবেদনকারীদের জন্য কোন প্রকার ভিসা ফি দিতে হয় না।

তো বর্তমান সময়ে আপনি যদি সেনজেন ভিসা করতে চান। তাহলে আপনাকে কত টাকা ভিসা ফি দিতে হবে, তা আপনি উপরে দেখতে পাচ্ছেন। চলুন, এবার তাহলে সেনজেন ভিসা সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপের নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা

সেনজেন ভিসা কাকে বলে?

লুক্সেমবার্গ এর সেনজেন নামক একটি শহরের মধ্যে ১৯৮৫ সালে বিশেষ একটি চুক্তি হয়েছিল। যে চুক্তি তে উল্লেখ করা ছিল যে, বেশ কিছু দেশ নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করবে। আর বর্তমান সময়ে উক্ত চুক্তিতে মোট ২৭ টি দেশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তো সেই ২৭ টি দেশের মধ্যে যে অঞ্চল রয়েছে। সেই অঞ্চল কে বলা হয়ে থাকে, সেনজেন এলাকা। আর আপনার কাছে যদি এই সেনজেন ভিসা থাকে। তাহলে আপনি একই সাথে এই ২৭ টি দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। মূলত এই ভিসাকেই বলা হয়ে থাকে, সেনজেন ভিসা।

সেনজেন ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে?

আমরা সকলে জানি যে, ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে হয়। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করেন। সেক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এর দরকার হবে।

আর সেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলোর তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন, 

  1. আপনার স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে।
  2. আপনার নিকট বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। যার মেয়াদ কমপক্ষে ০৬ মাস হতে হবে।
  3. যদি আপনার কোন ডকুমেন্ট বাংলায় থাকে। তাহলে সেই ডকুমেন্ট গুলো ইংরেজিতে অনুবাদ যুক্ত করতে হবে।
  4. ভিসার আবেদন কপি জমা দিতে হবে।
  5. পাসপোর্ট এর মধ্যে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য গুলো পরিষ্কার হতে হবে।
  6. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল কপির ফটোকপি দিতে হবে।
  7. আপনার সদ্য তোলা ছবি দিতে হবে।

যদি আপনি বর্তমান সময়ে সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনার প্রাথমিক পর্যায়ে যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সে গুলো উপরের তালিকা তে উল্লেখ করা হয়েছে। যে ডকুমেন্টস গুলোর মাধ্যমে আপনি সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হল, আপনি যদি ভ্রমণ ভিসায় কিংবা বিজনেস ভিসার মাধ্যমে সেনজন এলাকায় যেতে চান। তাহলে কিন্তু আপনার আরো অন্যান্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা

সেনজেন ভিসায় কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চায় যে, সেনজেন ভিসায় কোন দেশ যাওয়া যায়। আর আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলব, যে সকল দেশ গুলো সেনজেনভুক্ত রয়েছে। আপনি সেই সকল দেশ গুলো তে সেনজেন ভিসায় যেতে পারবেন।

আর সেজন্য আপনাকে সেনজেন ভুক্ত দেশ গুলোর নাম জানতে হবে। আর আপনি যদি সেনজেন ভুক্ত দেশ গুলোর তালিকা দেখতে চান। তাহলে এখানে ক্লিক করুন। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনি বর্তমান সময়ের সেনজেনভুক্ত অঞ্চলের সকল দেশের নাম দেখতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা ২০২৩

আপনার জন্য আমাদের কিছু কথা

বর্তমান সময়ে সেনজেন ভিসার খরচ কত সে সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আপনি সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করলে কোন ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হবে। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানিয়ে দিয়েছি।

তো আপনি যদি এই ধরনের ভিসা ও পাসপোর্ট সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। আর এতক্ষণ ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *