Estonia আবেদন করলেই ভিসা ১০০% প্রায়ই । নিজে নিজে আবেদন করার নিয়ম দেখুন

এস্তোনিয়া আবেদন করার মাধ্যমে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১০০%। ইউরোপে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ, কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এস্তোনিয়া ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো, কীভাবে আপনি নিজে নিজে এস্তোনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন, কোথায় রিক্রুটিং এজেন্সি পাবেন, কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করবেন এবং আপনার কোন কাজের জন্য আবেদন করা উচিত।

এস্তোনিয়া, যা সেনজেনভুক্ত একটি দেশ, সেখানে ভিসার অনুমোদনের হার অত্যন্ত ভালো। ৯৮% ভিসা রেশিওর কারণে, ১০০ জন আবেদন করলে প্রায় ৯৮ জনের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর মানে হলো, যদি আপনি সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন, তবে এস্তোনিয়া থেকে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। যদিও বাংলাদেশে অনেকেই জানেন না যে, এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য কোন ধরনের ভিসায় আবেদন করা উচিত। সে কারণে আজকের আর্টিকেলে আমরা এস্তোনিয়া ভিসা আবেদন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ক্যাটাগরি

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ক্যাটাগরি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, বিশেষ করে যারা বিদেশে কাজের সুযোগ খুঁজছেন তাদের জন্য। এই ভিসা গুলোর মেয়াদ ও সুবিধা ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সাধারণভাবে, এই ভিসা গুলো  সিজনাল, শট টার্ম এবং লং টার্ম ক্যাটাগরিতে বিভক্ত।

০১-সি ক্যাটাগরি ভিসা

প্রথমত, সি ক্যাটাগরি ভিসার কথা বললে, এটি একটি সিজনাল ভিজিট ভিসা হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ক্যাটাগরির ভিসার মেয়াদ থাকে ১৮০ দিন, তবে আপনি এখানে সর্বোচ্চ ৯০ দিন অবস্থান করতে পারবেন। এর মানে হল যে, আপনি এই ভিসা নিয়ে এক সিজনে ৩ মাসের জন্য কাজ করতে পারবেন। উক্ত ভিসা সেই সকল কর্মীদের জন্য উপকারী, যারা কিছু সময়ের জন্য কাজ করতে চান।

০২-ডি ক্যাটাগরি ভিসা

অন্যদিকে, ডি ক্যাটাগরি ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক থেকে দুই বছর বা তারও বেশি হতে পারে। তবে, এই ভিসার আওতায় আপনি ৫৪৮ দিন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে অবস্থান করতে পারবেন। এটি এমন ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত, যারা দীর্ঘমেয়াদী কাজের সুযোগ খুঁজছেন এবং তাদের থাকার সময়সীমা পরবর্তীতে বাড়াতে চান। যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে একটি কোম্পানিতে কাজ করতে চান। তাদের জন্য এই ভিসা অনেক বেশি সুবিধা প্রদান করবে। 

০৩- লং টার্ম ভিসা

লং টার্ম ওয়ার্ক ভিসা, যার মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকে না, বিভিন্ন মেয়াদে হতে পারে। এটি এক, দুই বা তারও বেশি বছর হতে পারে এবং এটি নির্ভর করে আপনার নিয়োগকারী কোম্পানি বা মালিক কতদিনের জন্য আপনাকে নিয়োগ দিয়েছে তার উপর। লং টার্ম ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করার সুযোগ দিবে, পাশাপাশি আপনাকে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে। এই ভিসা আপনার দীর্ঘস্থায়ী কাজের অভিজ্ঞতা এবং জীবনের জন্য অধিক সুবিধা প্রদান করবে।

বর্তমানে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ এজেন্সি যারা এস্তোনিয়ায় কর্মী পাঠাচ্ছে, তারা সি ক্যাটাগরি ভিসা (শর্ট টার্ম বা সিজনাল ভিসা) দিয়ে থাকে। এই ধরনের ভিসার মাধ্যমে আপনি ৯০ দিনের জন্য কাজ করতে পারবেন, তবে একবার ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তবে, সিজনাল ভিসার ক্ষেত্রে, নিয়োগকারী কোম্পানি যদি ইচ্ছা করে তবে আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব, তবে এটি নির্ভর করে কোম্পানির ওপর।

এই কারণে, যারা দীর্ঘমেয়াদী কাজের সুযোগ খুঁজছেন, তাদের জন্য লং টার্ম ভিসা সবচেয়ে উপযুক্ত। এই ভিসা আপনাকে অনেক বেশি সুযোগ এবং নিরাপত্তা প্রদান করবে। কারণ এটি দীর্ঘসময় ধরে আপনার অবস্থান নিশ্চিত করবে। তাছাড়া, এই ক্যাটাগরির ভিসা আপনার ভবিষ্যত কর্মজীবন এবং উন্নতির জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিবে।

কেন এস্তোনিয়া যাবেন?

কোনো একটি দেশে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র চাকরির উদ্দেশ্যে থাকেনা। বরং সেই দেশের আরো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে আপনি যখন ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়াতে যেতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে উক্ত দেশের সুযোগ সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। তো আপনি আসলে কেন এস্তোনিয়ায় যাবেন তার বেশ কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো। 

০১-সহজ নাগরিকত্ব পাওয়ার সুবিধা

এস্তোনিয়া অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি দেশ। বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান এবং উন্নত জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। এই দেশটি ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় নাগরিকত্ব প্রাপ্তির সহজ প্রক্রিয়ার দিক থেকে বিখ্যাত। যদি আপনি এস্তোনিয়াতে ৫ বছর লিগ্যালভাবে বসবাস করেন, তবে আপনি নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হবেন, যা ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই একটি কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। 

০২-উচ্চ বেতন সুবিধা

এই দেশটি শুধুমাত্র নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ প্রক্রিয়ার জন্যই পরিচিত নয়, এটি কর্মসংস্থান বাজারে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য আকর্ষণীয় সুযোগও প্রদান করে। যদি আপনি নন-স্কিল ওয়ার্কার হিসেবে এখানে আসেন, তবে আপনার প্রাথমিক বেতন থাকবে ৮০০ থেকে ৯০০ ইউরো, যা অনেক ইউরোপীয় দেশের তুলনায় যথেষ্ট। তবে, যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন এবং আপনি স্কিল-ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেন, তবে আপনার বেতন আরো বৃদ্ধি পাবে, যা ১২০০ থেকে ১৫০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।

০৩-উচ্চসারির চাকরি

এস্তোনিয়ায় চাকরি পাওয়ার সুযোগ অসাধারণ। এই দেশটি প্রযুক্তি ও আইটি খাতে অত্যন্ত উন্নত, যেখানে স্কিল-ওয়ার্কারদের জন্য আকর্ষণীয় বেতন এবং চাকরির সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, অথবা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো দক্ষতার সাথে এখানে আসেন, তবে আপনি এস্তোনিয়ায় উচ্চ বেতনের চাকরি সুবিধা নিতে পারবেন।

০৪-নিরাপদ জীবনযাপন

এস্তোনিয়া, তার কর্মপ্রবাহ ও নাগরিক সুবিধা নিয়ে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এখানে বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা অনেক উন্নত, যা আপনাকে উচ্চমানের জীবনযাপন উপভোগ করার সুযোগ দিবে। এছাড়াও, দেশটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে আরো বড় প্রাপ্তি বয়ে আনবে।

এস্তোনিয়া যেতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?

এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন, যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ১ বছর থাকতে হবে। পাসপোর্ট ছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসের মধ্যে রয়েছে ভিসা আবেদন ফর্ম, হেলথ ইন্স্যুরেন্স এবং সদ্য তোলা ছবি। এছাড়া, আপনার ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্সের কপিও সঙ্গে রাখতে হবে।

তবে এগুলোর পাশাপাশি আরো কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্টসও থাকতে হবে, যা আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকে, তবে তার সনদ জমা দেওয়া উত্তম। তাছাড়া, যদি আপনার কোনো কাজের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা থাকে, তার সনদও জমা দেওয়া ভালো। তবে, এই অতিরিক্ত ডকুমেন্টস গুলো প্রদান না করলেও সমস্যা নেই, কারণ এগুলো ঐচ্ছিক।

এস্তোনিয়া যাওয়ার জন্য কিছু সাধারণ ডকুমেন্টস যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কাজের দক্ষতার সনদ প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু যেগুলো আপনার কাছে নেই, সেগুলো দেওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সেক্ষেত্রে  আপনার প্রস্তুতি অনুযায়ী ডকুমেন্টস গুলো জমা দিতে হবে। তবে, যদি ভিসা প্রক্রিয়া চলাকালে আরও কোনো ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, তা আপনাকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা কর্তৃপক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

কিভাবে এস্তোনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করবেন?

এস্তোনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বর্তমানে বেশ জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ বাংলাদেশের বেশ কিছু ভিসা এজেন্সি মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। বিশেষ করে, অনেক এজেন্সি ওয়ার্ক ভিসার নামে ভিজিট ভিসা প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে তারা মানুষের কাছ থেকে অযথা অর্থ হাতিয়ে নেয়। তাই, এস্তোনিয়া ভিসা আবেদন করার আগে সঠিক এজেন্সি চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার জন্য পরামর্শ, যে কোনও এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করার আগে তাদের ব্যাপারে ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। যাতে করে আপনি প্রতারণার শিকার না হন।

এস্তোনিয়া ভিসা আবেদন প্রসেস

এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই, যা মূলত দক্ষ এবং হাই স্কিলড প্রফেশনালদের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করবে। এই ওয়েবসাইটটি হলো (https://www.tootukassa.ee/en). যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি এস্তোনিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তাদের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইটে আপনি আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। যেখানে প্রতিটি ধাপ পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যাতে আপনি সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর, যদি কোন কোম্পানি আপনাকে নির্বাচিত করে, তবে তারা পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে আপনাকে একটি ইমেইল পাঠাবে। তারপর, সেই কোম্পানি আপনার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করার জন্য অনুরোধ করবে।

রিক্রুয়েটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন

যারা রিক্রুয়েটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে চান, তাদের জন্য আরেকটি লিংক শেয়ার করা হলো, (https://clutch.co/ee/hr/recruiting). এখানে প্রবেশ করে আপনি আরও বেশি সাহায্য ও পরামর্শ নিতে পারবেন।

এস্তোনিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া বর্তমানে কিছুটা কঠিন হলেও, সঠিক পন্থায় ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি সহজেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই, ভিসা আবেদন করার আগে সব কিছু ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন, যাতে কোনও ধরনের প্রতারণার শিকার না হন এবং আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।

এস্তোনিয়ায় কোন কাজের ডিমান্ড বেশি?

বর্তমান সময়ে আপনি আমাদের বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়ায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। তবে একটি দেশের অর্থনীতি ও ভৌগলিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা থাকে। ঠিক তেমনিভাবে এস্তোনিয়াতে এমন কিছু কাজ আছে যেগুলোর অনেক বেশি ডিমান্ড আছে। আর সেই কাজ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো। যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে এস্তোনিয়া যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই কাজে নিজের দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করবেন। 

০১-আইটি সেক্টরের কাজ

এস্তোনিয়া একটি উন্নত প্রযুক্তির দেশ, যেখানে প্রযুক্তি-ভিত্তিক কাজের চাহিদা ব্যাপক। আধুনিক প্রযুক্তি, ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের কারণে, এস্তোনিয়ায় আইটি সেক্টরের কাজগুলো যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকিউরিটি, এবং ডেটা সায়েন্সের মতো পেশা গুলোর জন্য প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি সম্পর্কিত দক্ষতা নিয়ে যারা কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এস্তোনিয়া হবে একটি আদর্শ গন্তব্য।

০২-হোটেল রেষ্টুরেন্টের কাজ

তবে, শুধুমাত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই নয়, এস্তোনিয়ায় আরও অনেক খাতে কাজের বিশাল সুযোগ রয়েছে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবং ফুড প্রোডাকশন শিল্পের চাহিদাও বাড়ছে। দেশটির ট্যুরিজম সেক্টর বিকাশ পেয়েছে, ফলে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন গাইড, হোটেল কর্মী, এবং অন্যান্য সেবা খাতেও অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, কাঠের ফ্যাক্টরি, ওয়াটার প্ল্যান্টস এবং অন্যান্য উৎপাদন ক্ষেত্রেও শ্রমিকদের প্রয়োজন রয়েছে।

০৩-ফার্মিং ও কৃষিখাত

এস্তোনিয়ার ফার্মিং এবং কৃষি খাতেও চাহিদা রয়েছে। দেশটির কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা এবং ফার্মিং সেক্টর সচল রাখতে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কাঠের ফ্যাক্টরি এবং বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজেও শ্রমিক নিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে, যা শিল্পপ্রেমীদের জন্য আকর্ষণীয়। এসব ক্ষেত্রের কাজ গুলো সাধারণত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এস্তোনিয়া বিদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে চায়, কারণ দেশটির জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

এস্তোনিয়ায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলো ফ্যাক্টরি শিল্প। উৎপাদন খাতে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য সুযোগ ব্যাপক। বেভারেজ এবং অন্যান্য শিল্পকেন্দ্রেও যোগ্য কর্মীদের প্রয়োজন রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বিদেশি দক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়, যারা নির্দিষ্ট দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাজ করেন।

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক ভিসা প্রসেসিং ও ভিসা খরচ

এস্তোনিয়া ওয়ার্ক ভিসা প্রক্রিয়া ও খরচের বিষয়ে বিস্তারিত জানলে, আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন পদ্ধতিতে আবেদন করা আপনার জন্য সুবিধাজনক। যারা শর্ট টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, যেমন সিজনাল ওয়ার্ক বা ট্যুরিস্ট ভিসা, তাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান অ্যাম্বাসির মাধ্যমে ভিসার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে, যদি আপনি লং টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তখন আপনাকে ভারতের কনস্যুলেট অফিসে যেতে হবে। কারণ, এস্তোনিয়ার লং টার্ম ভিসা সেবা বাংলাদেশে না থাকলেও ইন্ডিয়াতে প্রদান করা হয়।

বর্তমানে, যারা এস্তোনিয়া লং টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আবেদন পরবর্তী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে। আপনি যদি নিজে নিজে আবেদন করেন, তবে আপনার খরচ প্রায় ১ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে পড়বে। এই খরচের মধ্যে প্লেন ভাড়া, অ্যাম্বাসি ফি এবং অন্যান্য আবশ্যকীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অন্যদিকে, যদি আপনি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন, তাহলে খরচ প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার মতো হবে। এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে কিছু সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, তবে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক এজেন্সি অতিরিক্ত খরচ বা ভুয়া সেবা দিতে পারে, তাই সঠিক এজেন্সি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

এস্তোনিয়া ভিসা প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি যা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ইউরোপে যাওয়ার আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি করেছে। এই দেশটির ভিসা অনুমোদন হার অত্যন্ত ভালো, যা সম্ভাব্য আবেদনকারীদের জন্য এক বড় সুবিধা। আপনি যদি সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখেন, তবে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।

যারা ভিসা আবেদন করতে চান, তাদের জন্য সঠিক তথ্য এবং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া জানার গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আগে, আপনাকে অবশ্যই সঠিক এজেন্সি বা ওয়েবসাইট নির্বাচন করতে হবে, যাতে প্রতারণার শিকার না হন। আর সে কারণে আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে ধাপে ধাপে এস্তোনিয়া ভিসা আবেদন সম্পর্কিত সকল বিষয়গুলো জানিয়ে দিয়েছি। ধন্যবাদ ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *