দুবাই ভিজিট ভিসা ফর বাংলাদেশী
Dubai Visit Visa for Bangladeshi: যদিওবা আমাদের বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চায়। তবে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে ভিজিট ভিসায় দুবাই যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।
কেননা, দুবাইয়ের আধুনিকতার ছোঁয়া সত্যিই দেখার মতো। তাই অনেকেই দুবাই ভিজিট ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চায়।
আর আপনাদের জানতে চাওয়া বিষয় গুলোকে একত্রে করে আজকের আর্টিকেল টি সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশিরা কি দুবাই ভিজিট ভিসা পাবে?
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারবে। আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জন্য দুবাই ভিজিট ভিসা চালু আছে।
তো যদি আপনি বর্তমানে সময়ে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাই যেতে পারেন। তাহলে সেই দেশে আপনি মোট ৩০ দিন থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ দুবাই বিজনেস ভিসা কি? আবেদন করার প্রক্রিয়া দেখুন
বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চান যে, বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ কত।
আর যারা আসলে এই বিষয়ে জানতে চান। তাদের বলে রাখি যে, ভিসার খরচ সবসময় এক রকম থাকেনা। কেননা, একটি দেশ যেকোনো সময় তার ভিসার খরচের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
তবে আপনি যদি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার খরচ হবে ২০০ দিরহাম। যা আমাদের বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার টাকার মতো। তবে অন্যান্য খরচ মিলে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো লাগে।
কিন্তুু এটা শুধুমাত্র দুবাই এর ভিজিট ভিসার জন্য খরচ হবে। এর বাইরে আপনাকে আরো বিভিন্ন কাজে ব্যয় করতে হবে। যেমন, বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া, ভ্রমন, চিকিৎসা ইত্যাদি।
এই খরচের পরিমান কত হবে। সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। কেননা, সবার বিলাসিতা তো আর সমান হয়না।
আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিজিট ভিসা কি বন্ধ? বিস্তারিত জেনে নিন
দুবাই ভিজিট ভিসা বের হতে কতদিন লাগে?
আপনি যখন দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করতে হবে।
এর পাশাপাশি দুবাই ভিজিট জন্য যে নির্ধারিত ফি নির্ধারন করা হয়েছে। আপনাকে সেই ফি পরিশোধ করতে হবে। এরপর ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনার ভিসা আবেদন যাচাই করবে।
আর বর্তমান সময়ে ভিজিট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ১৫ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। তো আপনি উক্ত সময়ের পর আপনি আসলে কখন আপনার দুবাই ভিজিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।
সেটি আপনাকে ভিসা অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। যদিওবা আমার জানামতে দুবাই ভিজিট ভিসা পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয়না।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কাজের ভিসা খরচ ২০২৩
৯০ দিন দুবাই থাকা যাবে কি?
বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই ৯০ দিন পর্যন্ত দুবাইতে থাকতে চাই। আর আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে বলবো যে, আপনি বর্তমানে দুই ধরনের ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাইতে থাকতে পারবেন। যেমন,
- একক এন্ট্রি দুবাই ভিসা
- মাল্টি এন্ট্রি দুবাই ভিসা
তো আমরা অনেকেই একক এন্ট্রি বা মাল্টি এন্ট্রি সম্পর্কে বুঝিনা। যার কারণে ভিসা করার সময় আমাদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
দুবাই একক এন্ট্রি ভিজিট ভিসা কাকে বলে?
মনে করুন, আপনি দুবাই ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করলেন। তারপর আপনি দুবাইতে মোট ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি পেলেন।
তো এখন যদি আপনি শুধুমাত্র ০১ বার দুবাইতে প্রবেশ করেন। আর ৯০ দিন শেষ হওয়ার আগে সেই দেশ ত্যাগ করেন। তাহলে আপনার ভিসার মেয়াদ থাকার পরেও আপনি সেই দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মূলত এই ধরনের ভিসা কে বলা হয়, একক এন্ট্রি ভিসা। যে ভিসায় আপনি শুধুমাত্র একবার প্রবেশের অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন।
দুবাই মাল্টি এন্ট্রি ভিজিট ভিসা কাকে বলে?
এই ধরনের ভিসার মাধ্যমে আপনার ভিসার মেয়াদ থাকা পর্যন্ত। আপনি একাধিক বার দুবাইতে যাওয়া আসা করতে পারবেন।
অর্থ্যাৎ, যদি আপনার ভিজিট ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন থাকে। তাহলে আপনি একাধিকবার সেই মেয়াদের মধ্যে দুবাই প্রবেশ করতে পারবেন। আবার ইচ্ছে করলে দুবাই ত্যাগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিসা চেক অনলাইন
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
যারা আসলে দুবাই ভিজিট ভিসা ফর বাংলাদেশি সম্পর্কে জানতে চেয়ছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলে দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করা হয়েছে।
তো এরপরও যদি আপনার নতুন কিছু জানার থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।