পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক | কলিং চেক করার নিয়ম

আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য হেল্পফুল হবে যারা মূলত পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক করতে চান। গত পর্বে আমি আপনাকে কলিং পেপার কি ও কলিং পেপার ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে বলেছিলাম। 

আর সেখানে আপনারা অনেকেই পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক করার উপায় জানতে চেয়েছেন। তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাকে ধাপে ধাপে কলিং চেক করার নিয়ম বলবো। সেজন্য আপনাকে নিচে দেখানো নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে। 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক করার উপায়

আপনারা যারা মালয়েশিয়া কলিং ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের অবশ্যই সেটি চেক করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনি পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক করতে চান তাহলে আপনাকে যেসব নিয়ম ফলো করতে হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হলো। যেমন, 

  1. এখানে ক্লিক করে একটি অ্যাপস ডাউনলোড করুন। 
  2. তারপর সেই অ্যাপসটি ইনস্টল করুন। 
  3. অ্যাপসে প্রবেশ করার পর আপনাকে ভাষা সিলেক্ট করতে হবে।
  4. তারপর আপনাকে ”Visa Checking by Passport” এই অপশনে ক্লিক করতে হবে। 
  5. এখন আপনি ”Passport Number” এবং ”Country Name” দেখতে পারবেন। 
  6. আপনাকে পাসপোর্ট নাম্বারের অপশনে সঠিক নাম্বারটি দিতে হবে। 
  7. তারপর কান্ট্রি হিসেবে ”Bangladesh” সিলেক্ট করতে হবে। 
  8. সবশেষে আপনাকে “Search” অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

আর যখন আপনি উপরে দেখানো পদ্ধতি গুলো ফলো করবেন তারপর আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দেখতে পারবেন। যেমন, আপনার নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, দেশের নাম ইত্যাদি। তবে এই তথ্য গুলো আপনি তখনি দেখতে পারবেন যখন আপনার পাসপোর্ট দিয়ে কলিং ভিসার আবেদন করা হবে। 

কেন পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক করবেন? 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আসলে জানতে চায় যে, কেন পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কলিং চেক করতে হবে। তো এই কলিং চেক করার অনেক কারণ আছে যেগুলো আপনার জেনে নেওয়া উচিত। 

প্রথমত আপনি যখন কলিং ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে দালাল কিংবা এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে। এখন আপনি তাদের সমস্ত ডকুমেন্টস ও টাকা দিয়ে দিলেন কিন্তুু তারা আপনার ভিসা আবেদন করলো কিনা সেটা তো আপনাকে জেনে নিতে হবে। 

সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে দালাল বা এজেন্সির সাথে কথা বলার আগে অনলাইন থেকে আপনার কলিং চেক করে নিতে পারবেন। আর অনলাইন থেকে জানতে পারবেন যে, তারা আসলেই কি আপনার পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা আবেদন করেছে কিনা। 

আর যদি দেখেন যে তারা ভিসার জন্য আবেদন করেছে তাহলে তো ভালোই। কিন্তুু যদি তারা আবেদন না করে তাহলে আপনাকে অতি দ্রুত তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আর আপনার ভিসা আবেদন করার জন্য বলতে হবে। 

মালয়েশিয়া ভিসা প্রতারনা থেকে বাঁচার উপায়

উপরের আলোচনাতে আমি আপনাকে একটা কথা বলেছি। সেটি হলো, যখন আপনি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করবেন তখন আপনাকে দালাল বা এজেন্সির সাহায্য নিতে হবে। কিন্তুু আমাদের অনেক সতর্কতার পরেও দালাল চক্র মানুষের সাথে প্রতারনা করে। 

কারণ, দালালরা ভূয়া ভিসা ধরিয়ে দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা করেছে এমন অনেক মানুষের উদাহরণ দেওয়া যাবে। তবে সময় অনেক বদলে গেছে, তাই আপনি যদি একটু সতর্ক থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই এমন প্রতারনার হাত থেকে বেঁচে যেতে পারবেন। 

সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভিসা পাওয়ার পর সেটি অনলাইন থেকে চেক করে নেন তাহলে আপনি সাথে সাথে জানতে পারবেন যে আপনার ভিসা আসল নাকি ভুয়া। মনে রাখবেন, বিদেশের মাটিতে পা রাখার স্বপ্ন পূরন হওয়ার আগ পর্যন্ত সবসময় সতর্ক থাকবেন। অন্যথায় আপনার অর্থ, শ্রম ও সময় সবই বৃথা যাবে। 

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাকে কলিং চেক করার নিয়ম গুলো দেখিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও কিভাবে আপনি ভিসা প্রতারনা থেকে রেহাই পাবেন সে সম্পর্কে বলেছি। তো আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করি। আপনি যদি আমাদের সেই তথ্য গুলো বিনামূল্যে জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *