বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
আপনি যদি বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়াতে অবস্থান করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ইতালি যাওয়াটা খুব সহজ হবে। কারন, বর্তমান সময়ে বুলগেরিয়া ও ইতালি নামক দুইটি দেশ সেনজেন জোনে যুক্ত রয়েছে। আর আমরা জানি, সেনজেন ভুক্ত দেশের নাগরিকরা উক্ত দেশ গুলোতে কোনো ধরনের ভিসা কিংবা পাসপোর্ট ছাড়াই ভ্রমন করতে পারবে।
তবে আপনি যদি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে বুলগেরিয়া থেকে কাজের জন্য ইতালি যেতে চান তাহলে আপনার ক্ষেত্রে ভিসার প্রয়োজন হবে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় গুলো বলার চেস্টা করবো।
বুলগেরিয়া থেকে ইতালির দুরত্ব কত?
যেহুতু আপনি বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় জানতে চান সেহুতু আপনাকে এই দুটি দেশের মোট দুরত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। তো বুলগেরিয়া থেকে ইতালির দূরত্ব প্রায় 1,971.4 কিলোমিটার এবং E70 হাইওয়ে ব্যবহার করে যেতে 20 ঘন্টা 23 মিনিট সময় লাগে। কিন্তুু আপনি যদি আকাশপথে যেতে পারেন তাহলে আপনার জন্য সময় কম লাগবে।
কারণ, আকাশপথে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যেতে আপনার প্রায় 2 ঘন্টা 30 মিনিট সময় লাগবে। যদিওবা বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন সময় লাগে। তবে স্বাভাবিক ভাবে আপনি উক্ত সময় এর মধ্যে বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যেতে পারবেন।
বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
শুরুতেই বলে রাখি যে, বুলগেরিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার অনেক উপায় আছে। আপনি চাইলে বিমান, ট্রেনে করে ইতালি যেতে পারবেন। আবার বর্তমান সময়ে বাসের মাধ্যমেও বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়া সম্ভব।
তবে যারা কম সময়ে ইতালি যেতে চান তাদের বলে রাখি যে, বিমানে খুব কম সময়ে যাওয়া সম্ভভ। সোফিয়া, বার্গাস এবং প্লোভডিভ সহ বুলগেরিয়ার বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর থেকে রোম, মিলান, ভেনিস এবং নেপলস সহ ইতালির প্রধান শহর গুলোতে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে।
বুলগেরিয়া নাকি ইতালি? কোন দেশে চাকরি করা ভালো?
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আসলে জানতে চান যে, কোন দেশে চাকরি করা ভালো, বুলগেরিয়া নাকি ইতালি। তো আপনার আসলে কোন দেশে চাকরি করা ভালো হবে তা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ, দক্ষতা এবং কর্মজীবনের লক্ষ্যের উপর।
তাছাড়া আপনার একটি বিষয় মনে রাখা উচিত, সেটি হলো বুলগেরিয়া এবং ইতালি দুটি ভিন্ন দেশ। যার কারণে এই দুটি দেশের চাকরির ক্ষেত্রে আলাদা আলদা সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। তাই সবার আগে আমাদের সেই সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
চাকরির ক্ষেত্রে বুলগেরিয়া
প্রথমত আমাদের বুলগেরিয়ার জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে জানা উচিত। কারণ, ইতালির তুলনায় বুলগেরিয়ায় জীবনযাত্রার খরচ অনেক কম। যার কারণে আপনি বুলগেরিয়াতে অনেক কম খরচে আপনার জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বুলগেরিয়ার কর এর হার অনেক কম, অপরদিকে ইতালির কর এর হার অনেক বেশি।
তবে পূর্বের দিন গুলোর তুলনায় বুলগেরিয়ার অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বুলগেরিয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে পর্যটন খাত থেকে উপার্জিত অর্থ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছ। তবে এত সুবিধার পাশাপাশি বুলগেরিয়াতে চাকরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধা আছে। যেমন,
বুলগেরিয়ার কিছু অসুবিধা
- নিম্ন বেতন: বুলগেরিয়ায় বেতন ইতালির তুলনায় অনেক কম।
- সীমিত কর্মসংস্থানের সুযোগ: বুলগেরিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ ইতালির তুলনায় সীমিত।
- ভাষাগত বাধা: আপনার বুলগেরিয়ান ভাষা শেখা কঠিন মনে হতে পারে।
চাকরির ক্ষেত্রে ইতালি
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ প্রবাসী ইতালিতে অবস্থান করছে। কারণ আমরা সবাই জানি ইতালির কাজের বেতন বুলগেরিয়ার তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও ইতালিতে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। যার কারণে আপনি ইতালিতে গিয়ে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তবে ইতালিতে কাজের বেতন ও কর্মসংস্থানের সুবিধা থাকলেও এই দেশে চাকরি করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করা যায়। যেগুলো নিচে শেয়ার করা হলো।
ইতালির কিছু অসুবিধা
- উচ্চ জীবনযাত্রার: বুলগেরিয়ার তুলনায় ইতালিতে জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি।
- উচ্চ কর হার: ইতালির কর হার বুলগেরিয়ার তুলনায় বেশি।
- বেকারত্বের উচ্চ হার: ইতালিতে বেকারত্বের হার বুলগেরিয়ার তুলনায় বেশি।
সত্যি বলতে বিশ্বের সব দেশে চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা ও অসুবিধা সমানভাবে বিদ্যমান। তবে আপনার আসলে চাকরি করার জন্য কোন দেশে যাওয়া উচিত তা আপনার ইচ্ছা, দক্ষতার উপর নির্ভর করবে।
আপনার জন্য আমাদের শেষকথা
বুলগেরিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে আপনি যদি বুলগেরিয়া থেকে ইতালিতে যান তাহলে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন সেটি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তো আশা করি আজকের আলোচিত বিষয় গুলো আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।