বিএমইটি কার্ড নাম্বার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
BMET Card Number: কোনো একজন ব্যক্তি যখন বিদেশ যাওয়ার জন্য বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করবে। তখন সেই ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রশিক্ষন নিতে পারবে। আর উক্ত প্রশিক্ষন শেষ করার পর কর্তৃপক্ষ থেকে আপনাকে একটি রেজিষ্ট্রেশন কার্ড প্রদান করা হবে। যেখানে একটি BMET আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার থাকবে। যাকে বলা হবে বিএমইটি কার্ড নাম্বার।
আর পরবর্তী সময়ে এই আইডেন্টিফিকেশন নাম্বর এর মাধ্যমে আপনি বিএমইটি ডাটাবেজ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। অথবা বিএমইটি কর্তৃপক্ষ চাইলে প্রয়োজনের সময় উক্ত নাম্বার এর মাধ্যমে আপনার তথ্য গুলোকে খুজে নিতে পারবে।
বিএমইটি কার্ড কিভাবে পাওয়া যাবে?
বর্তমান সময়ে আপনি খুব সহজে আপনার বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবেনা বরং আপনি অনলাইন থেকেও উক্ত কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনাকে “আমি প্রবাসী” এর ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস এর মধ্যে যেতে হবে।
তারপর আপনাকে আপনার নিজস্ব পাসপোর্ট নাম্বার টি সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। আর যখন আপনি উক্ত কাজটি সঠিক ভাবে করতে পাবেন। তখন আপনি অনলাইন থেকে আপনার বিএমইটি কার্ড ডাউনলোড করার অপশন দেখতে পারবেন। সবশেষে আপনি উক্ত কার্ডটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বিএমইটি ট্রেনিং সার্টিফিকেট চেক করার উপায়
Bmet Card পেতে কত দিন লাগে?
আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, Bmet Card পেতে কত দিন লাগে? তো যারা আসলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাদের বলবো যে, আপনি মাত্র ৩ ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যেই বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ০১ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তবে আপনি যদি এই সময়ের মধ্যে বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করতে চান। তবে আপনাকে একজন দক্ষ ব্যক্তি হতে হবে, নিজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। তারা মূলত ৩/৪ ঘন্টার মধ্যেই বিএমইটি কার্ড নিতে পারবেন। তবে যদি আপনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের দরকার হয়। তাহলে হয়তবা আপনাকে ০১ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আর এখানে একটা বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, আমরা অনেকেই বিএমইটি কার্ড পাওয়ার জন্য দালাল এর সহায়তা নেই। তো বর্তমান সময়ে দালালের শরনাপন্ন হওয়ার কোনো দরকার নেই। সেক্ষেত্রে আপনি যদি সরাসরি ঢাকার কাকরাইলের BMET এর কার্যালয়ে যেতে পারেন। তাহলে আপনি নিজেই বিএমইটি কার্ড নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন চেক করার সহজ উপায়
বিএমইটি কার্ড ফিংগার প্রিন্ট করতে কি কি লাগে?
আপনি যখন বিএমইটি কার্ড সংগ্রহ করতে চাইবেন। তখন আপনাকে অবশ্যই ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দিতে হবে। কিন্তুু আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা যে, কোথায় এবং কিভাবে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দিতে হয়। তো আপনিও যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে শুনুন….
যদি আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে চান তাহলে আপনাকে সরাসরি কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে যেতে হবে। আর তার আগে আপনাকে সংশিষ্ট জেলার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক/ নির্দিষ্ট সোনালী ব্যাংক এর মধ্যে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে। বর্তমান সময়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দেওয়ার ফি হিসেবে ২০০ টাকা নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে।
বলে রাখা ভালো যে, বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে মোট ২৬টি জেলায় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস হতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়া হচ্ছে। তবে এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই পে অর্ডার, ভিসার ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ইউকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ (আপডেট তথ্য)
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রবাসী মানুষদের জন্য বিএমইটি কার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর আজকে আমি আপনাকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা দিয়েছি। আশা করি, আজকের শেয়ার করা তথ্য গুলো আপনার অনেক ভালো লাগবে।
তো আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোনো মতামত বা অভিযোগ থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।