তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কি এবং কাকে বলে?

আমরা সকলেই একটা বিষয় বেশ ভালো করে জানি। সেটি হলো, একটি পরমানু প্রোটন ও ভর এর সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তুু যখন একটি পরমানুর মধ্যে প্রোটন সংখ্যার পরিমান সমান থাকবে। কিন্তু ভর সংখ্যার পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হবে। তখন সেই পরমানু কে বলা হবে, তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ।

তবে এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে। তা কিন্তুু আরো একটু ভিন্ন ভাবে বলা যায়। যা নিয়ে নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। যেন, তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কি. সে সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য জানতে পারেন।

 

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কি?

দেখুন আইসোটোপ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাগ রয়েছে। তবে সে গুলোর মধ্যে আমরা এমন কিছু আইসোটোপ দেখতে পারবো। যে আইসোটোপ থেকে নিজে থেকে বিভিন্ন ধরনের রশ্মি বের হয়। আর সেই রশ্মি গুলো হলো, 

  1. আলফা রশ্মি,
  2. গামা রশ্মি,
  3. বিটা রশ্মি,

তো যখন কোন আইসোটোপ থেকে উপরের এই রশ্মি গুলো বের হবে। তখন উক্ত রশ্মি নির্গত হওয়া আইসোটোপ গুলো কে বলা হবে, তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ। আশা করি, তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে তা আপনি পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।

 

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো কি কি?

উপরের আলোচনা থেকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে সে নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। কিন্তুু আপনি কি জানেন এইতেজস্ক্রিয় আইসোটোপ আমাদের মানব জীবনের জন্য কতটা ক্ষতিকর? যদি আপনি উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে শুনন,,,,,, এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ আমাদের মানুষের জন্য নানান সমস্যার সৃষ্টি করে।

যেমন, একটি মানুষের শরীরে যখন প্রচুর পরিমানে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর পরিমান বিদ্যমান থাকবে। তখন সেই মানুষের শরীরে ক্যান্সার এর জন্ম নিবে। এর পাশাপাশি অবাক করার মতো বিষয় হলো। একটি মানুষের শরীরে যখন দীর্ঘদিন থেকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বিদ্যমান থাকবে। তখন যদি অন্য কোন মানুষ তার সংষ্পর্শে আসে, তাহলে সেই ব্যাক্তিরও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একবারে কমে যাবে।

আর শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মধ্যেই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ক্ষতিকর প্রভাব সীমাবদ্ধ থাকেনা। বরং এটি একটি মানুষ কে মানসিক ভাবে বিকার করে দিতে পারে। একটি মানুষ কে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। আরো অবাক করার মতো বিষয় হলো। এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো বংশ পরম্বরায় চলতে থাকে। যা একটি মানুষের জন্য সত্যিই অনেক হুমকিস্বরুপ।

 

গামা রশ্মির ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি?

দেখুন, আমরা এতক্ষন থেকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর ক্ষতিকর প্রভাব গুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। তো আপনি কি জানেন, গামা রশ্মির কারণেও আমাদের নানা ধরনের ক্ষতি হয়। যেমন, কোন একজন ব্যাক্তির শরীরে যদি অতিরিক্ত পরিমানে গামা রশ্মি পড়ে। তাহলে প্রথম সেই ব্যক্তির ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে।

এর পাশাপাশি উক্ত ব্যক্তির মাথার চুল পড়া শুরু হয়ে যাবে। তবে গামা রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এই গামা রশ্মির কারনে একটি মানুষের শরীরে ক্যান্সার সহো টিউমার হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে। যা আসলে একটি মানুষের জন্য প্রচুর পরিমান ক্ষতিকারক।

 

গামা রশ্মির ব্যবহার কি?

আমরা উপরের আলোচনা থেকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ও গামা রশ্মির ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তো আপনি কি জানেন, এমন অনেক কাজ রয়েছে। যে গুলো তে গামা রশ্মির ব্যবহার করা হয়? -হুমম, আমরা এতক্ষন থেকে যে গামা রশ্মির ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করলাম। এমন অনেক কাজ রয়েছে, যেগুলো তে সেই গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়। 

যেমন, আপনি অবশ্যই সিটি স্ক্যান ও রেডিও থেরাপির নাম শুনেছেন। তো এই কাজ গুলো তে গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়। আবার দুরারোগ্য ক্যান্সার এর চিকিৎসা করার জন্যও গামা রশ্মির ব্যবহার করা হয়।

 

তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ নিয়ে আমাদের শেষকথা

বিভিন্ন সময় আমাদের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কি ও এর ক্ষতিকর দিক গুলো জানার দরকার হয়। আর সেই সময়ে আপনি যেন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন। সে কারনে আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে। তো ধন্যবাদ এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই ওয়েবসাইটটি কোনও অফিসিয়াল ভিসা বা ভ্রমণ সংস্থা নয় এবং এই সাইটের সমস্ত তথ্য অনলাইন, নিউজ পোর্টাল, ব্লগ ও উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এবং পসিবল হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন