জারণ সংখ্যা কাকে বলে?
আপনারা যারা জারণ সংখ্যা কাকে বলে তা জানতে চান। তারা শুনে রাখুন, আমরা সবাই জানি, বিভিন্ন ধরনের মৌল এর সমন্বয়ে মৌল গঠিত হয়। আর যৌগ গঠনকারী এই মৌল গুলো যে পরিমান ইলেকট্রন গ্রহন করার পরে ঋনাত্মক আয়ণ উৎপন্ন করে।
এর পাশাপাশি, যৌগ গঠনকারী সেই মৌল গুলো যে পরিমান ইলেকট্রন গ্রহন করে। এবং ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন করে। তাকে বলা হয় জারণ সংখ্য্যা। তবে এই জারণ কাকে বলে, সে বিষয় টি আরো একটু সহজ ভাবে বলা যায়। যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
জারণ সংখ্যা কি?
আমরা সকলেই একটা বিষয় বেশ ভালো করেই জানি। সেটি হলো, পরমানু অবস্থাতে প্রতিটা মৌলের জারণ সংখ্যার পরিমান ০ হয়ে থাকে।
আর তার ফলেই উক্ত মৌল গুলো ইলেকট্রন গ্রহন ও বর্জন করে। তো যখন মৌলের জারণ সংখ্যার পরিমান ০ থাকে। এবং সেই মৌল গুলো যখন নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেকট্রন বর্জন করার মাধ্যমে ধনাত্মক আয়ণ উৎপন্ন করে। এবং যে পরিমান ইলেকট্রন গ্রহন করে ঋনাত্মক আয়ণ উৎপন্ন করে। মুলত তাকে বলা হয়, জারণ সংখ্যা।
তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। সেটি হলো, বিভিন্ন ধরনের ধাতু, অধাতু ও যৌগ মৌলের যে পরিমান জারণ সংখ্যা থাকে। সেই জারণ সংখ্যার পরিমান গুলো তাদের আধান অনুসারে হয়ে থাকে। আর বিভিন্ন ধরনের যৌগ এর প্রকারভেদ অনুযায়ী, একই যৌগের মধ্যে বিদ্যমান থাকা মৌলের জারণ সংখ্যার পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
জারন সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে পার্থক্য
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জারণ সংখ্যা কাকে বলে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তো এবার আপনাকে আরো একটি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে। সেটি হলো, জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে থাকা পার্থক্য কি তা জেনে নিতে হবে।
কেননা, আমরা যে জারণ সংখ্যা সম্পর্কে জানতে পারলাম। সেই জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য রয়েছে। আর সেই পার্থক্য গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- সাধারন ভাবে যখন কোন মৌল ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহন করার ফলে। উক্ত পরমানুর মধ্যে যে ধনাত্মক বা ঋনাত্মক চার্জ এর মোট সংখ্যা কে উক্ত মৌলের জারণ সংখ্যা বলা হয়।
- কিন্তুু যোজনীর দিক থেকে অনেকটা ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। কারন, যখন কোন একট মৌল অপর কোন একটি মৌলের যুক্ত হওয়ার যে ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতা কে বলা হয়, যোজনী।
- আমরা সকলেই জানি যে, জারণ সংখ্যা কখনও ধনাত্মক হয় আবার কখনও ঋনাত্মক হতে পারে।
- অপরদিকে যোজনী কিন্তুু সর্বদাই ধনাত্মক হয়। কারণ, যোজনীর ঋনাত্মক হওয়ার কোন ধরনের সুযোগ নেই।
- এছাড়াও জারণ সংখ্যার দিক থেকে একটা বিষয় খেয়াল করতে পারবেন। সেটি হলো, জারণ সংখ্যা সবসময় সংখ্যার দিক থেকে পূর্ণ ও ভগ্নাংশ এই দুটোই হতে পারে।
- তবে যোজনী সবসময় ভগ্নাংশ কিংবা পূর্ন সংখ্যা হতে পারেনা।
- যোজনী বলতে শুধুমাত্র একাধিক মৌলের যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা কে বোঝানো হয়।
- কিন্তুু জারণ সংখ্যার মাধ্যমে মৌলের সাথে যুক্ত হওয়া প্রকৃতি কে প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
তো আপনারা যারা জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে থাকা পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলেন। আশা করি, তারা জারণ সংখ্যা ও যোজনীর পার্থক্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
যোজনী সংখ্যা কাকে বলে?
যোজনী সংখ্যা কাকে বলে, এর একটি সহজ উত্তর রয়েছে। সেটি হলো, অনু গঠন করার সময় যখন কোন একটি মৌল এর মধ্যে বিদ্যমান থাকা পরমানু গুলো। অন্য একটি নির্দিষ্ট মৌলের মধ্যে থাকা পরমানুর সাথে যুক্ত হওয়ার যে সামর্থ্য বিরাজমান থাকে। তাকে বলা হয়, যোজনী সংখ্যা।
জারণ সংখ্যা নিয়ে আমাদের শেষকথা
আজকের আলোচনা তে জারণ সংখ্যা কাকে বলে সে নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তো আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো সবার আগে জানতে চান। তাহলে Learning Boss এর সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।